শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রপতি আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করেছে বিএনপি।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করার কোনও উপায় নেই। রাষ্ট্রপতি দেশে অভিভাবক। তিনি কোনও দলভুক্ত মানুষ নন। তার দায়িত্ব খালেদা জিয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করবেন এবং এ সর্ম্পকে আলাপ-আলোচনা শুরু করার ব্যবস্থা করবেন।’
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সারাদেশেই আলোচনা-সমালোচনা দুটোই আছে। ফলে নতুন ইসি গঠন করে কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায় এবং কমিশনকে একটি শক্তিশালী সংগঠনের পরিণত করা যায় সেজন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিএনপির পক্ষে একটি নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সংবিধান অনুয়ায়ী ইসি গঠন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির। তাই খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাবটি বিএনপি অবশ্যই (রাষ্ট্রপতির) তার কাছে পাঠাবো। উনার কাছে প্রস্তাবটি পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। যদিও আমরা এখনও সময় পায়নি। তবে আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করার জন্য তিনি সুযোগ করে দেবেন। সেই অপেক্ষায় আছে বিএনপি।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে (২১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবে। আশা করছি বিএনপি তার অবস্থান ও সিদ্ধান্ত রাতেই জানতে পারবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রস্তাব আলোচনা সাপেক্ষে পরিবর্তন যোগ্য।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
/সিএ/এসটি/
