X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

উত্তেজনা নেই ৫ জানুয়ারি ঘিরে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:০৭আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:০৯

উত্তেজনা নেই ৫ জানুয়ারি ঘিরে আজ ৫ জানুয়ারি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি।২০১৪ সালের এ দিনে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে।গত দুটি বছর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভিন্ন আঙ্গিকে দিনটি পালন করে আসছে। দিনটিকে কেন্দ্র করে এবারও দু’দলেরই কর্মসূচি থাকলেও নেই আগের মতো উত্তাপ-উত্তেজনা।
গত দু’বারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করছে। অন্যদিকে বিএনপি এ দিনটিকে পালন করছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীতে মিছিল-সমাবেশের মতো রাজপথের কোনও কর্মসূচি না থাকায় সংঘাত-সংঘর্ষের কোনও আশঙ্কা নেই।
এদিকে আওয়ামী লীগ আজ ঢাকায় দুটি সমাবেশ করবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহানগর উত্তরের উদ্যেগে সমাবেশ হবে ধানমণ্ডির রাসেল স্কয়ারে। রাজধানীর মতো সারা দেশের জেলা ও উপজেলাতেও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে তারা।
এদিকে বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে কোনও কর্মর্সূচি দেয়নি। তবে সারাদেশের জেলা ও মহানগরগুলোতে কালো পতাকা মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করবে। বিএনপি ৭ জানুয়ারি একটি সমাবেশ করতে চাইলেও এখনও প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি আমরা সরকার গঠন করি। আমরা সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেছি। দেশের উন্নতি হয়েছে। উন্নয়ন আমরা ধরে রেখেছি। এটা দেশের ইতিহাসে কোনও সরকারই করতে পারেনি। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ একটা বিষ্ময়।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকেরা ওই নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপি ও তাদের জোট ওই নির্বাচন বর্জন করে এবং প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫ জানুয়ারির আগে-পরে ব্যাপক সহিংসতা ও হানাহানি হলেও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয় বিএনপি জোট। এরপর সারা বছর চুপ থাকলেও ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিএনপি আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই সময় সরকারি দল তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে রাজনীতির মাঠ উত্তাল হয়ে ওঠে। বিএনপিকে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ায় তারা হরতাল-অবরোধের ডাক দেয়। টানা তিন মাস চলে ওই আন্দোলন। এরপর দলটি নিজেরাই আন্দোলন থেকে সরে আসে। গত বছর ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার কিছুটা নমনীয়তা দেখায়। বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। আর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। কোনও রকম সংঘাত ছাড়াই দুই দলের কর্মসূচি শেষ হয়।

/ইএইচএস/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা