X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে আ. লীগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:২৪আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ২১:২৬

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সময় প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনসহ এ বাহিনীর সদস্যদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান তুলে ধরা হয়।

দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে ১০ পৃষ্ঠার একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সংলাপের প্রস্তাবনায় নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনে কতিপয় রাজনৈতিক দলের দাবির জবাবে আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ম্যাজেস্ট্রিয়াল ক্ষমতা প্রদানের বিষয়ে যারা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনয় নয়। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার।

প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের দাবিকে দেশের বিরাজমান আইন ও সংবিধানিক নিয়মকানুনের প্রতি অসৌজনতা প্রদর্শন ও সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস বলে বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্র হিসেবে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১২৯-১৩২-এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ২০০১ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে সংলাপে রাষ্ট্রপতিকে দলটি বলেছে, ওই নির্বাচনে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যবহার করে একটি বিশেষ রাজণৈতিক দলের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।

সংলাপে সংবিধান ও আইনের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির লিখিত প্রস্তাবে বলা হয় কোনও গোষ্ঠী বা সংস্থা দেশের সংবিধান বা বিরাজমান আইন-কানুনের বাইরে গিয়ে অন্য কোন পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠলে দেশের শান্তিকামী জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।

নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন কমিশনের জন্য স্থায়ী সচিবালয় ও আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার তার প্রায় সব কিছুই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ইসি সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার উন্নয়নে যেসকল গুণগত পরিবর্তন ও আইনগত ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তার প্রায় সবগুলোই আওয়ামী লীগের শাসনামলে হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র ও জনমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও দলটি দাবি করে।

 আরও পড়ুন: আগ্রহ-প্রকাশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির সংলাপে ডাক পাবে বাকি দলগুলো

/ইএইচএস/এমএনএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন