X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ নেই: গয়েশ্বর

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৪আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৩৫

 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ছবি: সংগৃহীত) বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও নিবন্ধন বাতিলের কোনও সুযোগ নেই।’ শনিবার জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যদি শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে যেতে হবে, তাহলে ৫ বছর পরে কেন? তাহলে তো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও অংশ নিত বিএনপি।’  তিনি বলেন,  ‘সংবিধানের আলোকে পরপর দু’বার নির্বাচনে না গেলে নিবন্ধন বাতিল হয়। কিন্তু আপনারা জানেন যে, সংসদ নির্বাচনে যে প্রতীকগুলো ছিল, সেই প্রতীকগুলো শুধু সংসদ নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আজকে নৌকা আর ধানের শীষ জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে। আমাদের প্রার্থী তো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যখন এটা স্থানীয় নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হয়, তখন জাতীয় সংসদের কোয়াসটা থাকে না।’

‘খালেদা জিয়ার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘উনি তো ভারতপ্রেমী। কিন্তু ভারতের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে, তা তো তারা অনুসরণ করেন না। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভারতবর্ষের ৬০ বছরের ইতিহাসেও হয়নি। ওই নির্বাচনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। আগামী নির্বাচনও যদি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো হয়; সে নির্বাচনেও ভোটাররা যাবে না। এ ধরনের নির্বাচন করে তারা যদি টিকে থাকতে চায় টিকে থাকুক। তবে এটা বলতে পারি, খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না।’

নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে রূপরেখা দেবেন—সংবাদ মাধ্যমের এমন খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এখন আমরা এ নিয়ে বসিনি। দলের মধ্যে নানা রঙ, নানা ধরনের ও নানা মতের লোক আছে। কে কী ভাবছেন, সেটা আমরা জানি না। পত্রিকার ভাষায় যেটা আসে, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা আদালত নয়, দিয়েছে সরকার। সরকার যখন মামলাটা দিয়েছে—এর পেছনে তো একটা উদ্দেশ্য আছে। এটা তো উদ্দেশ্যবিহীন মামলা না তো। এক-এগারোর সরকারের সময়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণ মামলা ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি প্যারোলে জামিন নিয়ে নির্বাচন করেছেন। ওই অবস্থায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর শেখ হাসিনার মামলাগুলো হাইকোর্ট তাকে নিষ্কৃতি দেন। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সচল করে। এ কারণে বলছি, সরকারের একটা উদ্দেশ্য আছে। তাই আমরা বলছি, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার একটা উদ্দেশ্য আছে। ওবায়দুল কাদের যা বলছেন, তা ধোপে টিকবে না। এসব মামলা রাজনৈতিক কারণে। আমাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এসব করা হচ্ছে। এসব মামলা আমরা আদালতের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
/এসটিএস/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা