X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলো চষে বেড়ানোর টার্গেট আ.লীগের

পাভেল হায়দার চৌধুরী
১৮ মার্চ ২০১৭, ১২:০৮আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৭, ১২:১১

আওয়ামী লীগ

আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি ও সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এলাকাগুলো কয়েকদফা চষে বেড়ানোর টার্গেট নিয়েছে। এসব জেলায় শেখ হাসিনা অন্তত একবার করে, আর দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কয়েকদফা সফর করবেন।নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, এর মধ্য দিয়ে ওই সব এলাকায় সাংগঠনিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।শুধু তাই নয়,এই সফরের মাধ্যমে উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ঘটাবে করবে ক্ষমতাসীনরা।ফলে জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে প্রত্যাশা করছেন দলের নেতারা। ইতোমধ্যে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সফর  শুরু করেছেন শেখ হাসিনা নিজেই। চলতি মাসেই বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত দুটি জেলা বগুড়া ও লক্ষ্মীপুর সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।ওই দুটি জেলার জনগণের জন্যে উন্নয়নের উপহারও নিয়ে গেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চলতি মাসে মাগুরা ও ফরিদপুর এবং আগামী মাসে আরও তিনটি জেলা সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে রয়েছে বরগুনা, ঠাকুরগাঁও ও চুয়াডাঙ্গা জেলা। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাসে অন্তত তিনটি-চারটি জেলা সফর ও জনসভা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভার পাশাপাশি এসব জেলায় কিছু উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন, আর নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে চায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘আগামী নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে হবে, আওয়ামী লীগ সেটাই বিশ্বাস করে। আমরা মনে করি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন মাথায় রেখেই সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছি।আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে ।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব এলাকা সফর করে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যাতে তারা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সেই নির্দেশনা প্রদান করছেন। গত বছরের শুরুর দিকে কুড়িগ্রামে হত-দরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজি চাল বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই চলতি মাসে বগুড়া ও লক্ষ্মীপুরে জনসভা করার মধ্য দিয়ে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী সফর ও দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার কার্যক্রম শুরু করেছেন। এই দুই জেলায় সফর করে জনসভা ছাড়াও বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও কিছু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এসেছেন তিনি। যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ উপকৃত হয়।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান,শুধু প্রধানমন্ত্রী নন,বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে যাতায়াত বেশি করবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা একাজটিও শুরু করেছেন। নতুন কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সপ্তাহে অন্তত দুদিন বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। দলীয় সংসদ সদস্যরাও নিজ নিজ এলাকায় বেশি করে অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যতটা সহজ হয়েছে এবং যেভাবে সংসদ সদস্যরা বিজয়ী হয়ে এসেছেন, এবার তার কোনও সুযোগ নাই।আগামীতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে, এমনটাই মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সারাদেশ সফর শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। বিশেষত যেসব এলাকায় সাংগঠনিক ভিত্তি কিছুটা দুর্বল, সেসব জেলাগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সফর করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘যেখানে-যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে তিনিও যাওয়া শুরু করেছেন। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  ‘নির্বাচনের আগে সারাদেশে অন্তত একবার সফর শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বাইরে সফর শুরু করেছেন। পাশাপাশি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও জেলা সফর শুরু করেছেন।’

/এপিএইচ/আপ-এসটি

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে: জাতিসংঘ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে: জাতিসংঘ
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
বিশ্ব যকৃৎ দিবসফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!