X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গিবাদকে জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করুন: খালেদা জিয়া

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৩৫আপডেট : ২৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৩৫







বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দোষারোপের রাজনীতি না করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশের সব মানুষকে সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।


প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই কেন জঙ্গিবাদ এভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আমরা এ প্রশ্ন কখনও তুলিনি এবং এ নিয়ে দোষারোপের রাজনীতিতেও লিপ্ত হইনি। বিশেষ কোনও সরকার বা দলের নয়, এটি একটি জাতীয় সমস্যা।’ 

সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি ধর্মীয় জঙ্গিবাদের নামে পরিচালিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তারে দেশবাসীর মতো খালেদা জিয়াও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।


সিলেটে মঙ্গলবার সমাপ্ত অভিযান সফলভাবে পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সহ দেশরক্ষা বাহিনীকে অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘অভিযানে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং যে সব সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন, তাদের প্রতি শোক ও সহানুভূতি জ্ঞাপন করছি।’ 

জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশও এ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এ সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে অগ্রসর হতে হবে আমাদের। সেই আহ্বান আমি বরাবর জানিয়ে আসছি। দুঃখের বিষয়, আমাদের আহ্বান এখন পর্যন্ত চরমভাবে উপেক্ষিত হয়ে আসছে।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, কেবলমাত্র দমন অভিযান চালিয়ে সমাজ থেকে জঙ্গিবাদের শেকড় পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। দু-একটি দমন অভিযানের সাফল্যে আত্মপ্রসাদ লাভ করারও কোনও সুযোগ নেই।’ 

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘মুসলিমপ্রধান এই দেশটিতে গণতন্ত্রহীনতা, জবাবদিহিতাহীন শাসন, দুর্নীতি, সুবিচারের অভাব এবং যুব সমাজের বেকারত্বই জঙ্গিবাদ বিস্তারের প্রধান কারণ। এ কারণগুলো দূর করতে হবে। জনগণকে আস্থায় নিয়ে তাদের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা নিতে হবে।’ 

বর্তমানে স্পর্শকাতর একটি সময়ে জঙ্গিবাদের আকস্মিক বিস্তার এবং দমন অভিযানে স্বচ্ছতার অভাবে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন খালেদা জিয়া। তার দাবি, এই সব সন্দেহ দূর করতে হবে। এই বিষয়গুলো অবিলম্বে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া তার শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর ও খুবই স্পষ্ট। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দেশব্যাপী এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে।’ 

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচিত হয়ে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের সরকারও জঙ্গিবাদের এই সংকটের মুখোমুখি হয়। আমরা কঠোর হাতে তা দমন করি। জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয় এবং শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করে তাদের বিচার সম্পন্ন করা হয়। পরে তাদের শাস্তি কার্যকর হয়।’ 

এসটিএস/এএআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এল বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এল বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা