বিএনপি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করবে, বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার বিকালে ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যে মূল্যায়ন করা হয়, দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্তৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।’
মুল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাতায়াতে নির্ধারিত ভাড়ার অর্ধেক মূল্যে যাতায়াতের বিধান করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ, তরিকুল ইসলিা, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব). মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ‘ভিশন-২০৩০’ অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: গণভোট পুনঃপ্রবর্তন করবে বিএনপি
/সিএ/এমও/