‘বাংলাদেশের বামপন্থীরা স্বাধীনতার পর থেকে বারবার স্বাতন্ত্র্য হারিয়েছেন, বুর্জোয়া রাজনীতি থেকে তাদের আলাদা করা যায়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শোকসভাটি আয়োজন করে আবদুস সালাম শোকসভা আয়োজক কমিটি। এতে তেল-গ্যাস খণিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তেল-গ্যাস খণিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জনগণের কাছে বামপন্থীদের সবচেয়ে বড় সংকট পরিচয়ের। বামপন্থীদের রাজনৈতিক ভাষা জনগণের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। জনগণ বুঝতে অক্ষম, বুর্জোয়া রাজনীতির সঙ্গে বামদের পার্থক্য কোথায়? মানুষের সামনে বামদের পরিচয়ে স্বাতন্ত্র্য আসেনি। আর এটাই হচ্ছে এই বিপ্লবী রাজনীতির প্রধান সংকট।’
আনু মুহাম্মদ আশা প্রকাশ করেন, ‘বিপ্লবীদের এই সংকট ঘুঁচিয়ে স্বাতন্ত্র্য ও পরিচয় পরিস্কার করতে হবে।’ এটি করতে সম্ভব হলে বাম রাজনীতিতে বড় ধরনের গতি আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
আলোচনায় আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘সংবিধান ক্ষমতার প্রতিফলন। সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে রাষ্ট্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা। রাষ্ট্র নিপীড়নমূলক এবং জনবিরোধী। রাষ্ট্র বিগত বছরগুলোতে ক্রমাগত সংবিধানকে সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষমূলক করেছে। বিগত বছরগুলোতে রাষ্ট্র যেভাবে অগ্রসর হয়েছে সবকিছুর প্রতিফলন ঘটেছে সংবিধানে। পাশাপাশি জনগণের শক্তির প্রতিফলন ঘটেছে আপেক্ষিকভাবে।’ শাসকশ্রেণি তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংবিধানকে ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ করেন আনু মুহাম্মদ।
‘প্রয়াত রাজনীতিক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম নীরবে কাজ করতেন’ বলে জানান আনু মুহাম্মদ। তার ভাষ্য, ‘নিজেকে সক্রিয় রেখে নানা সংকট মোকাবিলা করেছেন আবদুস সালাম।’
/এসটিএস/এসএম/