বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি হিসেবে এস কে সিনহা এই সংসদকে অবৈধ ও অকার্যকর হিসেবে রায় দিতে পারেন, সেই আশঙ্কা থেকেই সরকার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে।’ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। খন্দকার মোশাররফ সেখান বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম সংসদের অনির্বাচিত ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে একটি রিট করা আছে। প্রধান বিচারপতি ছুটি থেকে ফিরে এসে এ বিষয়ে রায় দেবেন বলে কথা ছিল। হয়তো সিদ্ধান্ত আসতে পারতো, ১৫৪ আসন অবৈধ। আর তাহলে এ সরকারও অবৈধ হয়ে যেত। সেই আশঙ্কা থেকে সরকার সুস্থ মানুষকে অসুস্থ বানিয়ে প্রথমে দেশত্যাগে এবং পরে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা আদায় করে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনা কিংবা কোনও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। সেই নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
‘রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। যার প্রমাণ ১২ নভেম্বর রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ। সমাবেশ থেকে দেশের জনগণ এই বার্তা পেয়েছে যে বর্তমান সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। জনগণ প্রস্তুত তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে।’
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন- প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে: মওদুদ