X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৫আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৪৭

ড. কামাল হোসেন (ফাইল ফটো) গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি কর্ম কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।কিন্তু সরকার এসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। 
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স  ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় যুব ঐক্যের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসব প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে উল্লেখ করে  ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণ চায় পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করুক। তবে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার চাইবে জনগণ যেন এসবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে। এজন্যই বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিচ্ছে। এসব করে সরকারও নির্বিঘ্নে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ড. কামাল বলেন, ‘এটা নিয়ে অনর্থক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাত জন বিচারক ঐক্যবদ্ধভাবে রায় দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজরা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের পর দেশের বাইরে পাচার করে চলেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ ব্যবস্থা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছে।কর্মসংস্থানের অভাবে দেশের বেকার সমস্যা বেড়ে চলছে।রাষ্ট্র ক্ষমতার পালা বদল হলেও অবস্থার কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন হয় না।অথচ সংবিধানে বর্ণিত নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে দেশের আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরে আনা, জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিত করা এবং যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা মোটেও কঠিন নয়।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন,‘নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তাদের নিরপেক্ষ বিচারকের ভূমিকায় থাকতে হবে।আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ থাকতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, গণফোরাম নেতা আ ও ম শফিক উল্লাহ।

আরও পড়ুন:  বিএনপিতে মহাসচিবের নির্দেশ উপেক্ষিত!

/এএইচআর/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক