কোনও বরণ ডালা লাগবে না, নাকে খত দেয়াও লাগবে না। নির্বাচন হবে, আমরা নির্বাচন করেই জবাব দেবো, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান দুদু। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বলেই দিয়েছেন প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না, আমরা তার অনুসারী। আমরা চাচ্ছি একটা মীমাংসা হোক।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে দুদু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে এ দেশে নির্বাচনের কোনও সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সংশোধন করে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছেন। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হোক, আমরা নির্বাচন করে জবাব দেবো। তখন আপনিই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন, আন্দোলন ছাড়া কোনও মুক্তি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার শব্দটি আছে বইয়ে, বাস্তবে বাংলাদেশে তা নেই। এদেশ থেকে মানুষ কিভাবে গুম হয় তা স্বয়ং আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না।’
সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়া মারুফ জামান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মারুফ জামান তার মেয়েকে আনতে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন কিন্তু এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। ২০ দলের শীর্ষ নেতা ফেরত আসেনি, সাংবাদিক উৎপল দাসের কোনও খবর নেই। আমি জানি বিএনপির কর্মীরাও আমার মতো একই আতঙ্কে ভোগেন। ভয়ঙ্কর এক রাজত্বে বাস করছি আমরা।’
সভায় বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হয়েছে মানুষের ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই’