দেশের দুই শীর্ষ ইসলামী রাজনীতিক মাওলানা মোস্তফা আজাদ ও মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ আর নেই। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর দুটি হাসপাতালে পৃথক সময়ে ইন্তেকাল করেন দেশের এই দুই প্রবীণ আলেম (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা মোস্তফা হলেন মিরপুর আরজাবাদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি। আর মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক আমির।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (একাংশ) যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কলাবাগান ওরিয়ন হাসপাতালে সকাল পৌনে ১০টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা মোস্তফা আজাদ। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার সময় ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ। দু’জনই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
ধর্মভিত্তিক দুই শীর্ষ রাজনীতিকের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোতে। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহসহ অনেকে।
মাওলানা মোস্তফা আজাদ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তার ছেলে মাওলানা জুলকারনাঈন আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ১৯৭১ সালে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নেন আল্লামা মোস্তফা আজাদ। তার বাবা ছিলেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর। পাকিস্তানিদের প্রতিহত করতে তরুণ ও ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন ধলগ্রাম ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামের মাঠে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছিলেন আল্লামা মোস্তফা আজাদের বাবা মেজর বাদশা মিয়া। মুক্তিযুদ্ধে তার যুদ্ধের এলাকা ছিল মেজর অব. জলিলের নেতৃত্বাধীন ৯ নম্বর সেক্টর (বৃহত্তর খুলনা ও বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চল)।