X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চলবে না, ছাত্রলীগের সম্মেলনে শেখ হাসিনা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ মে ২০১৮, ২০:৪০আপডেট : ১১ মে ২০১৮, ২০:৪৮





বক্তব্য দিচ্ছেন শেখ হাসিনা (ছবি- ফোকাস বাংলা) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভার্নালিজম চলবে না। ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবে, এটা বরদাস্ত করা হবে না। শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের ফল ছাত্ররা ভোগ করবে, সেটা দেখতে চাই না।
ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিকাল ৪টায় সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ‍উদ্যানে পৌঁছে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের প্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভার্নারিজম চলবে না। ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করবে, এটা আমি বরদাস্ত করবো না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। কিন্তু সমস্ত খরচ সরকার দেয়। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আমি প্রচুর টাকাপয়সা খরচ করেছি। নতুন নতুন হোস্টেল নির্মাণ, সাবজেক্ট চালু, সবকিছু করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যদি কেউ ভাঙচুর করে, ভার্নারিজম করে, আমার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ রয়েছে, সে যে দলের হোক আর যেই হোক তাকে ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষকদেরও বলবো। শিক্ষকেরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লাগবেন, তারা দ্বন্দ্ব করবেন আর তার ফল ভোগে করবে ছাত্ররা, সেটা আমি চাই না। শিক্ষকরা যদি এভাবে নিজেদের মধ্যে এগুলো করেন তাহলে ছাত্ররা শিখবেটা কী? কারো কিছু বলার থাকলে বলবেন। আমরা এটা দেখবো। আমি দিনে বোধ হয় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ঘুমাই, বাকি সময়টা তো দেশের কাজেই ব্যয় করি। কেউ তো বলতে পারবেন না, সমস্যা নিয়ে গেলে আমরা তার সমাধান করিনি। আমরা সমাধান করি এবং করতে জানি। কিন্তু কোন কিছু নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা কখনও বরদাস্ত করবো না। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এর অপব্যবহার করার জন্য নয়।’
ভিসির বাসায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়ির আক্রমণের ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করা হলো। আমরাও তো ছাত্র অবস্থায় আন্দোলন করেছি। ভিসির বাড়ির ভেতরে ঢুকে রুম ভাংচুর লুটপাট করা, তাকে ধাক্কা দেওয়া, এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোদিন কোনও ইতিহাসে ঘটেনি। তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে অনেকে ধরা পড়েছে। আরও ধরা পড়বে। এর সঙ্গে যারা জড়িত আর লুটপাট যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘কথায় কথায় দাবি করলে তো হবে না। আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবে। একটা দেশের কল্যাণ কীভাবে করতে হয়, উন্নয়ন কীভাবে করতে হয়, শিক্ষার পরিবেশ বজায় রেখে শিক্ষার মান কীভাবে উন্নত করতে হয়, শিক্ষিত জাতি কীভাবে গড়ে তুলতে হয়, আমরা তা ভালোই জানি। জানি বলেই আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
বর্তমান সরকারের মেয়াদে শিক্ষার পরিবেশ বজায় থেকেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই ৯ বছরে এই ধরনের দু-একটি ঘটনা ছাড়া এমন কোনও ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটেনি। এজন্য ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমরা এই ধরনের ঘটনা আর চাই না যে এখানে ঘটুক।’
সমঝোতায় ছাত্রলীগের কমিটি
ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সর্বোচ্চ বয়স ২৮ বছর এবং সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের নেতৃত্ব নিয়ে আসো। তোমরা নিজেরা বসে তোমরা সমঝোতার মাধ্যমে করো, সেটাই আমরা চাই।’
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘স্যাক্রিফাইস করাটা শিখতে হবে। স্যাক্রিফাইস না করলে কিন্তু কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন তখনই করতে পারবে যখন কিছু দিতে পারবে। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে, যারা সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে তোমাদের এই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারে, যাতে আগামীদিনে তোমরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারো জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে।’
নতুন নেতৃত্বের বয়স প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগের বয়স আমরা ২৭ বছর করে দিয়েছিলাম। দুই বছরমেয়াদি কমিটির মেয়াদ ৯ মাস বেশি হয়ে গেছে। আমি চাই না এই ৯ মাস বেশি হয়েছে বলে কেউ বঞ্চিত হোক। কাজেই এটাকে আমরা এক বছর গ্রেস দিতে পারি। কাজেই ২৮ বছরের মধ্যে আছে যারা তারাই হবে। কারণ, এখন কোনও সেশন জট নেই।’
সম্মেলনে শেখ হাসিনা (ছবি- ফোকাস বাংলা) ‘মন খারাপ আমারও হয়েছিল’
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ না হওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গতকালকে (শুক্রবার ভোর) একটা দিন ছিল। সকলের মনে আশা ছিল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে। আপনারা জানেন, এটা অত্যন্ত সেনসেটিভ একটি বিষয়। সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজ প্রোগ্রাম করা থাকে। যখন রাতে এটার উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শুরু হলো। সেখানে জয়সহ আমাদের সকলেই ছিল। আমি জয়কে বলে রেখেছিলাম, শুরু হলে আমাকে সাথে সাথে বলবে। সে আমাকে জানাল ১৫ মিনিট পরে এটা উৎক্ষেপণ হবে। সময় কাউন্টডাউন করে যখন মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে বাকি তখন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল। এই বন্ধ হওয়ার পেছনে যান্ত্রিক কারণ থাকতে পারে, স্যাটেলাইট যেখান থেকে যাবে সেখানে যদি মেঘ জমে থাকতে পারে, বা অস্বাভাবিক বায়ু পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে। যে কারণে এটা বন্ধ হলো। এরপর তারা আরেকটু সময় বাড়াতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের দুই ঘণ্টা সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে হয়নি। আজকে আমাদের আবারও সময় দিয়েছে। আমেরিকার সময় ৪টা, আমাদের সময় ভোর ২টা। যদি এই সময়ও না হয় আরেকটা স্লট তারা আমাদের দেবে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে এ ধরনের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। আমি নিজেও ফ্লোরিডায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ দেখেছি। এটা নানা কারণে অনেক সময় থেমে যায়। সময় কাউন্টডাউনও থেমে যায়। তখন আবার নতুনভাবে শুরু করতে হয়। তবে এটা নিয়ে কারো দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ইনশাল্লাহ, অবশ্যই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিশ্চিয়ই আমরা পাবো। এটা মহাকাশে যাবে। আমরা যে আকাশও জয় করেছি, এটাই সব থেকে বড় কথা। কেউ যেন মন খারাপ না করে। অবশ্য মন খারাপ আমারও হয়েছিল যে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডের জন্য আমাদের স্যাটেলাইট উঠতে পারলো না। তবে এটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, খুবই স্বাভাবিক বিষয়। যারা এই সাবজেক্ট সম্পর্কে অবহিত তারা বিষয়টি জানেন।’
ট্রাফিক আইন মানতে হবে
রাস্তাঘাটে কীভাবে চলতে হবে, রাস্তা কীভাবে পার হতে হবে, ট্রাফিক রুল সম্পর্কে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে জানতে হবে। রাস্তার মাঝখান থেকে হঠাৎ দৌড় মারবে। আর এর জন্য দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে মারধর করবে, সেটা তো হয় না। রাস্তায় কীভাবে চলতে হয়, তা শিখতে হবে। ট্রাফিক নিয়ম সবাইকে মানতে হবে। বসে চড়ার সময় হাত বের করে বসে থাকবে। মাথা ঝুলিয়ে বসে থাকবে আর হাত গেলে সেই দোষ বিআরটিসি’র হবে, চালকের হবে সেটা তো হতে পারে না। প্রত্যেক জিনিস ব্যবহারের নিয়ম আছে, সেটা সবাইকে মানতে হবে।’
আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে সংগ্রাম, সেখানেও ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে ছাত্রলীগের কিছু কিছু নেতা বিপথে চলে গেছে। এখনও বিএনপিতে তাদের দু-চারজন খুঁজে পাবেন।’
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিরা, যুদ্ধাপরাধীরা যখন ক্ষমতায় তখন একটি লক্ষ্য নিয়ে এদেশে আমি ফিরে আসি। ওই সময় জাতির পিতার নাম নেওয়া ও তার ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বাঙালি জাতিকে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে আমি এদেশে আসি।’
ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপির অপকর্মের কারণেই ইমার্জেন্সি শুরু হয়। তারা ক্ষমতায় এসে নির্বাচনের নামে টালবাহানা শুরু করলে আমি তার প্রতিবাদ জানাই। এ কারণে আমাকে সবার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই সময় ছাত্রলীগ প্রতিদিনই জেলখানায় আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাস করতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বল্পোন্নত দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে গেছি। ১৬টি দেশকে আমরা পেছনে ফেলে এই অর্জন করেছি। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের। এই পরিচয় দিতে যেন মানুষ গর্ববোধ করেন। আমরা এখন সেই পরিবেশটাই সৃষ্টি করেছি।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এরা ধ্বংস করতে চায়। স্বাধীনতার চেতনা নষ্ট করতে চায়। তারা ২১ বছর সেই চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। আল্লাহর রহমতে পারবেও না।’
নিজেকে ভবিষ্যত নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এখন থেকেই মানুষের সমস্যা দেখতে হবে। আমরা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সেগুলোতে কোনও দুর্নীতি হচ্ছে কিনা, কাজের মান বজায় রয়েছে কিনা, তা দেখতে হবে। জনগণের প্রতি আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেই নেতৃত্ব পেতে হয়।’

 

/ইএইচএস/পিএইচসি/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফাইনালে ১১ মিনিট লড়াই, জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
ফাইনালে ১১ মিনিট লড়াই, জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রাথমিকের প্রশ্নের সমাধান!
ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রাথমিকের প্রশ্নের সমাধান!
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা