তিস্তাচুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের জন্য কী এনেছেন? আমরা জানি না, জানতে চাই। তিস্তার কোনও সমাধান করতে পেরেছেন? আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখবেন।’ শনিবার (২৬ মে) রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে জাতীয় ইসলামী মহাজোট আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
মাদকবিরোধী অভিযোগে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ তীব্র সমালোচনা করেছে এরশাদ করেছেন, ‘‘দেশে কি যুদ্ধ শুরু হয়েছে যে, এভাবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানু্ষ হত্যা করা হচ্ছে? যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কি এদেশে জন্ম নেয়নি? তাদের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?’ তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে, তারা এদেশের নাগরিক। মানুষ মারার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? দেশে কি আইন বা আদালত নেই?’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রমজান শান্তি ও সংযমের মাস। কিন্তু আমরা কেউ শান্তিতে নেই। আমাগীকালকে বন্দুক যুদ্ধের শিকার হবো আমরা কেউ জানি না। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের কথা বললেও পারেননি।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দেখতে অনেকে যাচ্ছে। অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতির কোনও মূল্য নেই। নোম্যানস্ ল্যান্ডে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা। তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসুন। দশ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারলে আরও চার লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামি রাষ্ট্রগুলো আজ বিচ্ছিন্ন। কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। দেশে আমরাও সবাই ঐক্যবদ্ধ নই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এদেশে কেউ ইসলাম বিনষ্ট করার সাহস পাবে না।’
দেশের সব ইসলামি দলের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, আসুন সব ইসলামি দল একত্রিত হয়ে নির্বাচন অংশ নেই, যেন করে আমরা ইসলামের সেবা করতে পারি।