দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে অবস্থা, তা কেবল কোনও ব্যক্তি বা দল নয়, গোটা জাতির জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ রবিবার (২৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে চলমান যে সংকট, তা সমগ্র জাতির সংকট। দেশে কেউ এখন নিরাপদ নয়। তাই এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারি, তাহলে জাতি ক্ষমা করবে না।’
খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পেয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তার মুক্তি ছাড়া নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করা ঠিক হবে বলে মনে করি না। বরং আমরা মনে করি, নির্বাচন হতে হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এছাড়া নির্বাচন অর্থবহ হবে বলে মনে করি না।’
ইফতার মাহফিলে বক্তব্যে দেন যুক্তফ্রন্টের ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সোনার বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর নূর, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রমুখ।