সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিতে চায় ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিস। তাই সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে একক প্রার্থী দেওয়া নিয়ে জটিলতায় পড়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট। বুধবার (২০ জুন) ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সময় উঠে আসে জামায়াতের প্রার্থী দেওয়ার প্রসঙ্গ। তখন খেলাফত মজলিসও প্রার্থী দেওয়ার কথা জানায়।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০ দলীয় জোটের নেতাদের জানান, সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে চায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। জামায়াতের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি বিএনপিকে জানানো হয়েছে। এছাড়া সিলেট সিটি নির্বাচনে খেলাফত মজলিসও মেয়র পদে প্রার্থী দিতে চায়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সূত্র আরও জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর আগামী ২৭ জুন ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে সিলেট সিটিতে কোন দল থেকে প্রার্থী থাকবে তা চূড়ান্ত হবে।
২০ দলীয় জোটের শরিক বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলা ট্রিবেউনকে বলেন, ‘বৈঠকে আসন্ন তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিতে চায় শরিক দলগুলো। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এজন্য আগামী ২৭ জুন ২০ দলীয় জোটের পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
একই তথ্য নিশ্চিত করলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির বাইরে জামায়াতে ইসলামী ও আমরা প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি মির্জা ফখরুলকে জানিয়েছি। তিনি জানান— আগামী ২৮ জুন তিন সিটির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর আগের দিন ২৭ জুন বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ২০ দলীয় জোট।
আগামী ২৩ জুন থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা। সভায় জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা প্রদানের জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বিএনপির মহাসচিবের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তোফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান প্রমুখ।