X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের যত চ্যালেঞ্জ

এমরান হোসাইন শেখ
২৩ জুন ২০১৮, ১০:১০আপডেট : ২৩ জুন ২০১৮, ১০:২০

আওয়ামী লীগ যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে না পারা এবং দলের মধ্যকার গণতন্ত্রের চর্চার ঘাটতিকে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও দলটি সাংগঠনিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সরকার ও দল একাকার হয়ে পড়েছে। মাথাচাড়া দিয়েছে দলের ভেতরের কোন্দল। সরকার হয়ে পড়েছে প্রশাসননির্ভর। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় আওয়ামী লীগ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে দেশে আওয়ামীবিরোধী মনোভাবও (অ্যান্টি আওয়ামী লীগ সেন্টিমেন্ট) কিন্তু কম নয়। সময়ের ব্যবধানে এই সেন্টিমেন্ট বেড়েই চলেছে। কার্যকর ও সক্ষম রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে যত বেশি সম্ভব জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

দেশের প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় দেশের বিশিষ্টজনসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এসব কথা বলেন।

বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য মন্তব্য করে তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দলটি শেখ হাসিনা-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে পড়েছে। কাজেই তিনি যত দিন দলের নেতৃত্বে আছেন তত দিন আওয়ামী লীগকে কোনও বেগ পেতে হবে না। তবে তার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কে দেবেন, সেই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছে নেই।

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি সফল নেতৃত্ব ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। বিকল্পহীন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার বিগত ৩৭ বছর দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশ ও দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। আর এই এগিয়ে নেওয়ার একক কৃতিত্ব তারই। কিন্তু এই সময় দলের ভেতরে যোগ্য কোনও নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি।’

তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব গড়ে ওঠার প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান ডাকসুসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন ৩ দশক ধরে হচ্ছে না। এটা কেন হচ্ছে না তার কোনও ব্যাখ্যাও নেই। কোনও সরকার এতে নজর দেয়নি। নির্বাচন হলে অনেক নেতা তৈরি হতো, যার বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগ পেতো। কাজেই শেখ হাসিনার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের কী হবে সেটা আজ বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

আওয়ামী লীগ তার আদর্শ থেকে অনেকটা সরে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী ঘরানার এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘আর্দশগতভাবে এখন আওয়ামী লীগ কতটুকু নিষ্ঠ আছে সেটাও এখন একটা প্রশ্নের বিষয়। কারণ, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ থেকে আওয়ামী লীগ বেশ খানিকটা বিচ্যুত হয়ে গেছে।’

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়ে পড়েছে। সব কিছুর জন্য তার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, যেকোনও মানুষের দায়িত্বের সীমাবদ্ধতা থাকে। তার ওপর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ দল ও সরকারের একাকার হয়ে যাওয়া। গণতন্ত্রের সব থেকে বড় দুর্বলতা হলো এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে একাকার করে ফেলা হয়েছে। সরকার আর দল একাকার হলে গণতন্ত্র অনুপস্থিত হয়ে যায়।’

গবেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ হচ্ছে সব থেকে টেকসই ও কার্যকর রাজনৈতিক দল। এর আগে ও পরে অনেক রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। তাদের অনেকেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেকে নিবু নিবু করে টিকে আছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থাও বেশি, আকাঙ্ক্ষাও বেশি। কার্যকর ও সক্ষম রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে যত বেশি সম্ভব জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’

আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ হলো নিজেকে অতিক্রম করা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কার্যকর ও শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকার কারণে আওয়ামী লীগ খালি মাঠ পেয়ে খেলছে তার জন্য তাদের মধ্যে কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। এখান থেকে সরে এসে তাতে আরও অনেক বেশি সহনশীল ও জবাবদিহিমূলক হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে নিজের সঙ্গে নিজেকে যুদ্ধ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনও পরিবর্তন আসতে হলে সেটা অবশ্যই ভেতর থেকেই আসতে হবে মন্তব্য করে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগে একসময় যৌথ নেতৃত্ব কাজ করতো। ৬৯/৭০ থেকে দলের একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর একক নেতৃত্ব এসেছে ক্যারিশম্যাটিক লিডারশিপের কারণে। এটা বঙ্গবন্ধুর সময়ে হয়েছিল। দল বঙ্গবন্ধু-কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল। তার মৃত্যুর পরে দল অগোছালো হয়ে পড়েছিল, একাধিক খণ্ডে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। ওই অবস্থায় এসে শেখ হাসিনাকে দলের হাল ধরতে হয়েছে। তিনি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার শুরুর দিকটাতে বেশ টানাপোড়েন ছিল। পরে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই তার দলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় থেকেই শেখ হাসিনার একচেটিয়া নেতৃত্বেই দল চলছে। এটাকে দোষের কিছু মনে করার কোনও সুযোগ নেই। কারণ, দলের মধ্যে বিকল্প নেতৃত্ব হওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। কারণ, সেরকম কেউ উঠে আসছে না। সেরকম ক্যারিশমাও কারো মধ্যে নেই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবারকেন্দ্রিক নেতৃত্ব দেওয়ার যে প্রবণতা তা থেকে আওয়ামী লীগ শিগগিরিই বেরিয়ে আসবে বলে মনে করি না।’

মহিউদ্দিন আহমদের মতে, শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগকে ‘ওন’ করেন দলের অন্যরা কিন্তু সেইভাবে করেন না। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে তার মতো গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় নেতা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই। দলের যত সমস্যা বা সঙ্কট আছে তা শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে হয়। এটা দলের জন্য যেমনি সমস্যা, তেমনি একটি সম্পদও। এর অর্থ, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে এই দলটির চলা দুরূহ হয়ে পড়বে। এই উপলব্ধি আওয়ামী লীগের মধ্যে আছে বলেও আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘দলের অনেকের আচরণে মনে হয় তারা এই দলে চাকরি করেন। কাজেই অন্যরা থাকলেন কী গেলেন তাতে কিছুই যায় আসে না। শেখ হাসিনার উপস্থিতিই দলের জন্য জরুরি। এটা আওয়ামী লীগের জন্য ভালো হচ্ছে কি মন্দ হচ্ছে, তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। কিন্তু আপাতত তাকে বাদ দিয়ে কোনও কিছুই সম্ভব নয়। সুযোগও নেই। দৃশ্যত মনে হচ্ছে তিনি না থাকলে দল থাকবে না।’

তৃণমূলকে আওয়ামী লীগের প্রাণ বলে মন্তব্য করে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আশার বিষয় হচ্ছে আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে একমাত্র দল যার তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিক বিস্তৃতি রয়েছে। তৃণমূলের সংগঠনের কারণে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকেও দলটি টিকে রয়েছে। এই তৃণমূলের শক্তির ওপর ভর বরে অতীতে বড় সঙ্কট মোকাবিলার দক্ষতা দেখিয়েছে। ভবিষ্যতেও দেখাতে পারবে।’

জনকাঙ্ক্ষা পূরণের ধারা বজায় রাখতে পারলে আওয়ামী লীগ আরও টেকসই হতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। মহিউদ্দিন আহমদ বলেন,‘কর্মী-সমর্থক তৃণমূল উপেক্ষা করে সরকার বা দল যদি প্রশাসননির্ভর হয়ে উঠে তাহলে গভীর সঙ্কটে পড়বে। যার কিছু আলামত ইদানিং দেখা যাচ্ছে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সাত দশক ধরে জাতীয় রাজনীতির অগ্রভাবে থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তবে তাদের এই পথ চলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। দলটিকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। ৭০ বছরে বাঙালি জাতির জীবনে যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তার সবই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। জনগণের দল আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে অগ্রসর হয়েছে বলেই তারা প্রতিকূলতার মধ্যেও তাদের রাজনীতি টিকে রয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নিকট ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন বলে মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে জনগণের রায় লাভ করে সরকার গঠন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে লক্ষ্যমাত্রার দিকে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। কিন্তু এর ব্যত্যয় হলে কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তার অতীত অভিজ্ঞতা কিন্তু আমাদের রয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের এখন একটিই কাজ— নির্বাচনে জনগণের মন জয় করে দলকে ক্ষমতাসীন করা।’

বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন দলের নেতৃত্বে থাকবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দলের সংকটে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছিল টার্নিং পয়েন্ট। তিনি যতদিন সুস্থ আছেন, নিঃসন্দেহে দলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি যতদিন নেতৃত্ব দিতে পারবেন ততদিন তা জাতির জন্য কল্যাণকর হবে।’ তবে আওয়ামী লীগের জন্য কখনও নেতৃত্বের সংকট দেখা দেবে না বলে মনে করেন হারুন-অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে সংকটের সময়ে যেভাবে নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে। সেভাবেই নতুন নেতৃত্ব তুলে আনবে। আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের সংকট নেই বা হবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাসহ নেতাকর্মীদের ওপর স্টিমরোলার চালানোর পরও কিন্তু আওয়ামী লীগ উঠে দাঁড়িয়েছে।  এটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।’

অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ দলে গণতন্ত্রের চর্চার ঘাটতি এবং প্রশাসননির্ভরতাকে আওয়ামী লীগের জন্য বড় দুর্বলতা বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো দেশগুলোতে কোন দল টানা ক্ষমতায় থাকলে সেটির সাংঠনিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারও প্রশাসননির্ভর হয়ে পড়েছে। দলের মধ্যে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। নতুন টার্মে দলটি আবার ক্ষমতায় আসলে এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা মুশকিল।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন একক নেতৃত্বে চলছে। এটার দুটি দিক রয়েছে। এর ভালো দিক হচ্ছে দলের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ শেখ হাসিনার রয়েছে। আর খারাপ দিক হচ্ছে দলে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসছে না।’

তাকে ছাড়া আওয়ামী লীগের সবাইকে কেনা যায়— শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘এই বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে শেখ হাসিনাও নিজেও মনে করেন, তার দলের নেতা-কর্মীরা আদর্শভিত্তিক রাজনীতির প্রতি আনুগত্যশীল নন। তারা যার যার সুবিধার জন্য রাজনীতি করেন।’

নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর আমলেও কিন্তু ৩০ শতাংশের মতো অ্যান্টি আওয়ামী লীগ সেন্টিমেন্ট আমরা এ দেশে দেখেছি। বর্তমানে এ সংখ্যা কমছে দাবি করার কোনও সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের একটি অংশের ওপর ক্ষোভ থেকে এটি আরও বহুলাংশে বেড়েছে বলে মনে হয়।’

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে আসবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল তখনই শেখ হাসিনাকে দায়িত্বে এনে দলকে রক্ষা করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি একই পরিস্থিতির উপক্রম হতে পারে। তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে কেউ এলে সেটার সম্ভাবনা কম।’ বাংলাদেশের জনগণ পারিবারিক নেতৃত্ব একপ্রকার মেনেই নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন:

আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: প্রধানমন্ত্রী

 

/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা