X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘নির্বাচনই বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় সংকটের জায়গা’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩৪আপডেট : ০৫ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫০

গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে জোনায়েদ সাকি (ছবি: সংগৃহীত) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘যে দেশে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম থাকে, যেখানে লাগাতার স্বৈরতন্ত্র কায়েম আছে, সেদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল হতে পারে না। আমাদের দেশে সেটাই দেখছি। নির্বাচনই বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় সংকটের জায়গা। আজও তা বহাল আছে।’ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

জোনায়েদ সাকির ভাষ্য, ‘দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের সবচেয়ে উপযোগী আইন হচ্ছে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন। এতে বলা আছে, পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচনে যতই কারচুপি হোক, নিবন্ধন রক্ষার জন্য অংশ নেবে দলগুলো। নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরে মাত্র একবার নিবন্ধনের আহ্বান করেছে। কাজেই এবার নিবন্ধন হারিয়ে ফেললে ২০২৩ সালের আগে আর আবেদনই করা যাবে না। নিবন্ধনের শর্তগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন, এটি দেশে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের একটি উপযোগী আইন। এ আইন কীভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে?’
সাকির অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়ে পায় না। অন্যদিকে কমিশনের যে ক্ষমতা তাও আমরা প্রয়োগ করতে দেখি না। এই পরিস্থিতি নতুন নয়, আগেও ছিল। এখন আরও ন্যাক্কারজনকভাবে এসব হচ্ছে। কাজেই এই নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের অনুকূলে হতে পারে। কিন্তু বিরোধী দলগুলোর জন্য এই কমিশন ও বিধিবিধান কোনোটাই অনুকূল নয়। কাজেই নির্বাচন পরিস্থিতিতে ভারসাম্য না এলে ও নির্বাচনের গণতান্ত্রিক অনুকূল পরিবেশ তৈরি না হলে যেকোনও রাজনৈতিক দল মনে করতে পারে— এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে একটা কারচুপির নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া। তাই তারা এই নির্বাচনে অংশ নেবে না।’ 

নিবন্ধন আবেদন পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদানের আগে বৃহস্পতিবার সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।

/এসও/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?