যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভবিষ্যতে শুধুমাত্র ভারসাম্যের রাজনীতিই স্বেচ্ছাচারী সরকারের আবির্ভাব ঠেকাতে পারে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
শুক্রবার (২০ জুলাই) বিকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া কলেজ মাঠে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট আয়োজিত যুক্তফ্রন্টের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনও অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শক্তি আর সরকার গঠন করতে পারবে না। তাই আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।যুক্তফ্রন্ট সৃষ্টি হয়েছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। আমি সকল গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনি।’
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। খুলনা এবং গাজীপুরের মতো নির্বাচন হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।’ তিনি নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন গঠন, ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
সমাবেশে জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব বলেন, ‘দেশে আজ অরাজকতা বিরাজ করছে। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সুতরাং ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি যুক্তফ্রন্টকে সমর্থনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকারকে বাতিল করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেছে। তাদের দিয়ে আর কিছু হবে না। একমাত্র যুক্তফ্রন্টই পারে সত্যিকার সোনার বাংলা গড়তে।’ যুক্তফ্রন্ট্রের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাভার অঞ্চলের সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন হাসমতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন জেএসডি বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, শ্রমিক নেতা কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, যুব পরিষদের আহ্বায়ক এস.এম শামসুল আলম নিক্সন, ঢাকা জেলা যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক তাপস ঠাকুর প্রমুখ।
