X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিরাপদ কার্যক্রমে ব্যস্ত বিএনপির ‘ডায়নামিক’ কমিটি

সালমান তারেক শাকিল
২৬ জুলাই ২০১৮, ১২:৪০আপডেট : ২৬ জুলাই ২০১৮, ২০:৫৮

বিএনপি বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। এর সাড়ে চার মাস পর ওই বছরের ৬ আগস্ট ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে দলটি। চার ধাপে এই কমিটি ঘোষণার শেষ দিনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘অত্যন্ত ভাইব্র্যান্ট ও ডায়নামিক কমিটি হয়েছে।’ কমিটি গঠনের দু’বছর পার হলেও কর্মসূচি বা আন্দোলনে বিএনপির ‘কাঙ্ক্ষিত সাফল্য’ অর্জিত হওয়ার মতো কিছুই ঘটেনি।

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে না পারলেও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব সদস্য আগামী নির্বাচনের আগে নিজেকে ‘প্রার্থী’ হিসেবে দেখতে পছন্দ করছেন। আর রাজপথের আন্দোলনের চেয়ে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠিত অপেক্ষাকৃত নিরাপদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চান নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এটা স্পষ্ট হওয়া গেছে যে অনেকটা নিরাপদ কর্মসূচিতে আগ্রহ দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের। বিশেষ করে পুলিশের বাধা বা গ্রেফতার-হয়রানি এড়াতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠানগুলোতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নেতারা।  সম্প্রতি মানবাধিকার বিষয়ক একটি আলোচনা সভায় প্রায় অর্ধশতাধিক সিনিয়র নেতা অংশ নিলেও গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নয়াপল্টনের সমাবেশে তাদের অনেককেই দেখা যায়নি।

জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মধ্যে মূলত তিনটি ভাগ রয়েছে। একটি পলিসি মেকারদের; যাদের সংখ্যা হাতেগোনা। দ্বিতীয়টি সিনিয়র নেতাদের, যাদের বেশিরভাগ আগামী নির্বাচন নিয়েই চিন্তিত। তৃতীয় ভাগে রয়েছেন সাধারণ নেতারা, যারা মহানগর থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে আছেন।

অনুসন্ধান বলছে, নিষ্ক্রিয় অর্থে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সংখ্যা অনেক কম। বিশেষ করে সদস্যদের একটি অংশ আছেন, যারা নিজ নিজ সংসদীয় আসনকে ঘিরে মগ্ন থাকেন। এই আসনভিত্তিক নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বর্তমানে বেশি নিষ্ক্রিয়, যারা মনে করেন—তার আসনে বিকল্প প্রার্থী নেই। আবার কোনও কোনও নেতা মর্জিমাফিক পদ না পেয়ে দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। এরকম কারণে কেউবা নীরব রয়েছেন মনঃক্ষুণ্ন হয়ে।

বিএনপির নেতারা ও দলটির সমালোচকরা বলছেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈরী আচরণের কারণে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের অনেকে ইচ্ছে করেই নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। এক্ষেত্রে যে ধরনের কৌশল ও বুদ্ধিমত্তার কারণে দল আরও সুসংগঠিত থাকার কথা ছিল, তার কিছুটা কমতি লক্ষণীয়। কিন্তু সহনীয় মাত্রার রাজনৈতিক প্রোগ্রামগুলোতেও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের অনীহার বিষয়টি পরিষ্কার ধরা পড়েছে। সর্বশেষ গত ২০ জুলাই চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও ৯ জুলাই অনশন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের উপস্থিতি ছিল কম। বিশেষ করে অনশন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর থেকে রীতিমতো কয়েকজন নেতা যেন হাওয়া হয়ে গেছেন। তাদের কোনও সমাবেশ বা কোনও শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠানেও দেখা মেলেনি। কমিটি গঠনের দু’বছরের মধ্যে কয়েকজন নেতা মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুজন ছিলেন স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

গত ৬ আগস্ট ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী কমিটিতে ১৭ জন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে ৭৩ জন, নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্য হন ৫০২ জন। এরমধ্যে ৩৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ৭ জন যুগ্ম মহাসচিব, ১০ জন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে ১৬১ জন কর্মকর্তা। বাকিরা সদস্য। সদস্যদের মধ্যে ১১৩ জন নতুন মুখ। বিশেষ সম্পাদক করা হয় দুজনকে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য

যারা মারা গেছেন

বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর ও চেয়ারপারসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির কয়েকজন সদস্য মারা গেছেন। তারা হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ.স.ম. হান্নান শাহ ও এম. কে আনোয়ার। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব চৌধুরী, হারুনার রশীদ খান মুন্নু, ফজলুর রহমান পটল, উপদেষ্টা কাজী আনোয়ার, আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, নুরুল হুদা (চাঁদপুর), মোজাহার হোসেন (পঞ্চগড়), ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বদরুজ্জামান খসরু, সদস্য মিয়া মুহাম্মদ সেলিম, মিসেস চেমন আরা, আবুল কাশেম চৌধুরী, সারোয়ার আজম খান, এম এ মজিদ।

শারীরিকভাবে অসুস্থ যারা

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। তিনিও শারীরিকভাবে অসুস্থ। লন্ডনে আছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ।

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বেশি অসুস্থ তরিকুল ইসলাম, তিনি বর্তমানে বিছানায় শায়িত। মাঝে মাঝেই অসুস্থ পড়েন লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। অসুস্থ হওয়ার পর কখনও কখনও দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা। ভারতে বিচারাধীন মামলায় আটক আছেন অসুস্থ সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভারতে সালাহউদ্দিনের অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ওষুধ সেবন করছেন।

অসুস্থতা রয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও। যদিও দলের এই মুহূর্তের প্রায় সব ধরনের কর্মকাণ্ড ও নীতিনির্ধারণী কাজের নেতৃত্বে আছেন তিনি। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলছেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় মির্জা ফখরুলকে।’ স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সারোয়ারী রহমানও অসুস্থ থাকায় দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না। 

কী কাজে ব্যস্ত সক্রিয় নেতারা

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বৈঠক, নীতিনির্ধারণ ও পর্যালোচনা নিয়ে সক্রিয় আছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বর্তমানে তাদের প্রত্যেকেই দলের সাংগঠনিক ও প্রোগ্রামভিত্তিক কার্যক্রমে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত রয়েছেন।

জমিরউদ্দিন সরকারের ভাষ্য, ‘চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই বর্তমান স্থায়ী কমিটির অন্যতম বড় সাফল্য।’

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র উইংয়ের কাজে আছেন—রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ। আইনি বিষয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। ৭৩ জন উপদেষ্টার একটি বড় অংশ নানা কাজে ব্যস্ত। খুব কম সংখ্যক সরাসরি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। যদিও নেতাদের কারও কারও ভাষ্য—উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকেই সিরিয়াস ছাত্রনেতা ছিলেন, তাদের উপদেষ্টা করায় আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

টকশো, সংবাদ সম্মেলন ও প্রেসক্লাবভিত্তিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত দেখা যায় হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারসহ আরও কয়েকজনকে। নির্বাচন কমিশন ও দলের বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় সক্রিয় আছেন ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপিকা তাজমিরী ইসলাম প্রমুখ। তিন সিটিতে মেয়র নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় আছেন আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, তাহমিনা রুশদি লুনাসহ আরও অনেকে। এর বাইরে বাকিরা ক্ষেত্রবিশেষে ব্যস্ত থাকলেও দলের রাজনৈতিক নিয়মিত কর্মকাণ্ডে তাদের অনুপস্থিতি আছে।   

ভাইস চেয়ারম্যানরা কী করছেন

বয়সজনিত কারণে শায়িত আছে ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খান। দুই-একটি বৈঠক ছাড়া দলের কর্মকাণ্ডে ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, হারুন আল রশীদকে কম দেখা যায়। দলের কর্মকাণ্ড থেকে একেবারে হাওয়া হয়ে গেছেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির খোঁজ করি না। নিজেও করি না। আমি খুব অসুস্থ, বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত।’ দলে প্রচার আছে, স্থায়ী কমিটিতে জায়গা না পেয়ে তিনি নিষ্ক্রিয় আছেন।

টকশো এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও প্রোগ্রামভিত্তিক কাজে ব্যস্ত আছেন আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ।

সিনিয়র নেতাদের বৈঠক দলের প্রকাশ্য কোনও বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

আমেরিকায় আছেন সাদেক হোসেন খোকা ও ড. ওসমান ফারুক। অসুস্থতাজনিত কারণে নিষ্ক্রিয় আছেন মিসেস রাবেয়া চৌধুরী।

পররাষ্ট্র উইংয়ের আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করছেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। সাংগঠনিক কাজে রয়েছেন মেজর জেনারেল( অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।

প্রকাশ্য কর্মকাণ্ডে দেখা যায় না অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুল মান্নান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু,  মীর নাসির, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মোসাদ্দেক আলী ফালু (পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন), মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, গিয়াস কাদের চৌধুরীসহ আরও অনেককেই।  

সম্পাদকরা কী করছেন

নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যস্ত আছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব (দফতরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আইনি কাজে যুক্ত আছেন যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। মজিবুর রহমান সারোয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল টকশো করেন নিয়মিত। খায়রুল কবির খোকন প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকেন।

যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকলেও পরবর্তী সময়ে তার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন আছে। যদিও তার ঘনিষ্ঠ একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির জোরালো মত হচ্ছে—হাবিব উন নবী সোহেলের কারণেই সর্বশেষ সমাবেশে লোকসমাগম হয়েছে। আন্দোলনে তার নিষ্ঠার কোনও অভাব নেই। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নানা বাস্তবতায় তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায় না। 

যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে হারুন-অর-রশিদকে খুব একটা দেখা যায়নি। কারাগারে আছেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। 

সম্পাদকদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা তার দাফতরিক কাজের বাইরে কোনও কাজে যুক্ত হন না। সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে সর্বত্র দেখা গেলেও ঢাকা জেলা গোছানোর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনালোচ্য রয়েছে। মাহবুবুর রহমান শামীম মোটামুটি সক্রিয়। এছাড়া, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (রাজশাহী), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা), আসাদুল হাবিব দুলু (রংপুর), ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন (সিলেট) সক্রিয় রয়েছেন। কুমিল্লা অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজীম পদত্যাগ করলেও তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। এমরান সালেহ প্রিন্স (ময়মনসিংহ), বিলকিছ জাহান শিরিন (বরিশাল), শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর) সক্রিয় আছেন নানা কাজে।

বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন আন্তর্জাতিক উইংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিশেষ সম্পাদক আবু নাসের মো. ইয়াহিয়া চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের বাড়ির মালিক। প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সক্রিয় রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পাদক এহসানুল হক মিলন মালয়েশিয়া, মাহিদুর রহমান লন্ডন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম লন্ডনে আছেন। ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ফরেন উইংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার টকশো ও দলের আইনি বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদিন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায় ব্যস্ত থাকলেও তার পদ বিষয়ক কোনও কাজই তিনি করেননি।

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নিয়মিত আইনি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত আছেন। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করলেও তার পদের কাজ নিয়ে উদাসীন।

স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহবার উদ্দিন কাজের মধ্যে নেই। বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ ওরফে দৌড় সালাহউদ্দিন দলের কার্যক্রমে শ্লথগতিতে রয়েছেন। নিজ এলাকায় বিকল্প কোনও প্রার্থী নেই বলে নিশ্চিত রয়েছেন।

অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ শ্যামল আসনভিত্তিক সক্রিয়।

এছাড়া অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয়; উভয় অংশের সদস্যরাই রয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ফালু পদত্যাগ করেছেন। সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুল হক শামীম সহ-প্রচার সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ জনিকেও দলের কর্মকাণ্ডে দেখা যায় না।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সব নেতাই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। গত ২০ জুলাইয়ের সমাবেশেও সব নেতা উপস্থিত ছিলেন। এরপর আপনার অনুসন্ধানে যদি কেউ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে থাকেন, তাহলে তাদের নাম লেখেন।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

 

 

 

 

/এপিএইচ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
করোনার পরে মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
করোনার পরে মাধ্যমিকে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস দুর্ঘটনায় ৪৫ তীর্থযাত্রী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস দুর্ঘটনায় ৪৫ তীর্থযাত্রী নিহত
পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকা সোনা নিয়ে ভারতে যাচ্ছিল পাচারকারী
পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকা সোনা নিয়ে ভারতে যাচ্ছিল পাচারকারী
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়