X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির পিতাকে অস্বীকারকারীদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না: নানক

ঢাবি প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০১৮, ২০:২৮আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩১

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যাকারী ও নেপথ্য নায়কেরা আস্ফালন করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতাকে যারা স্বীকার করে না, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হতে পারে না।’ মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ( টিএসসি) প্রধান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘৭৫-এর খুনিদের যারা পুরস্কৃত করেছে, যারা খুনিদের সংসদে বসিয়ে সংসদকে অপবিত্র করেছে, শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না।’

 আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি ‘মিনি পাকিস্তানে’ পরিণত করা। আমাদের জাতির পিতা, আদর্শের পিতা, দার্শনিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা ছিল একটি আদর্শের হত্যাকাণ্ড।’ তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তিনিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তখন কোথায় ছিলেন জিয়াউর রহমান? তিনি কী দায়িত্ব পালন করেছেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতা আলাদিনের চেরাগের দৈত্যের মতো কিংবা স্বপ্নে পাওয়া মহৌষধের মতো আসেনি। বরং স্বাধীনতা পেতে এদেশের লাখ লাখ মানুষ আত্মদান করেছেন।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে  নানক বলেন, ‘নির্বাচন ঠিক সময়ে সাংবিধানিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে কে অংশ নেবে,  কে  নেবে না, সেটা আওয়ামী লীগের দেখার বিষয় না।’

ছাত্রলীগের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটা পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউশন। ছাত্রলীগের পুরনো স্লোগানগুলো মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল স্বাধীনতা আনতে। বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগের কাছ থেকে আমি নতুন নতুন স্লোগান দেখতে চাই। আপনাদের নতুন স্লোগান সৃষ্টি করতে হবে। সেই স্লোগানই হবে আমাদের প্রত্যয়। সেই স্লোগানের পেছনেই ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হবে।’

জাতীয় নির্বাচনে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগরের নতুন নেতৃত্ব এসেছে। তাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ১১তম জাতীয় নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

 

/এসআইআর/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গানে-কবিতায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন সঙ্গীতালয়ের
গানে-কবিতায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন সঙ্গীতালয়ের
কালবৈশাখী হতে পারে ৮ বিভাগে
৩ দিনের সতর্কবার্তাকালবৈশাখী হতে পারে ৮ বিভাগে
দুবাইতে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখলেন ফাহাদ
দুবাইতে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখলেন ফাহাদ
মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ