বিএনপির নেতারা বলেছেন, সমাবেশের সভাপতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন কমর্সূচি দেবেন। এই কমর্সূচি পালন করতে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তারা। একইসঙ্গে নেতারা বলছেন, বতর্মান শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ করছে বিএনপি।
রবিবার দুপুর ২.১০ মিনিটে কোরান তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সম্মানে চেয়ার খালি রাখা হয়। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সমাবেশে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, সমাবেশে আসার পথে পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। হয়তো সমাবেশ শেষে মামলা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সমালোচনা করে দুদু বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে হবে বিএনপি নির্বাচনের জন্য তৈরি হবে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে জেলে যেতে হবে। খালেদা জিয়া জেলে থাকবেন, আপনি বাইরে থাকবেন, তা হবে না।’
শওকত মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করা হবে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনও নির্বাচন হবে না।’
ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘সমাবেশে লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে।’
এদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসেছেন।