বড় ধরনের কোনও সমস্যা ছাড়াই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে আসনবণ্টন করতে সক্ষম হয়েছে বিএনপি। তবে এই বণ্টনের ক্ষেত্রে নিজ দলেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দলটির নীতি-নির্ধারকরা।
মনোয়নবঞ্চিত নেতাকর্মী ও বিএনপির মনোনয়নে যুক্ত একাধিক জরিপ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, সামগ্রিকভাবে মনোনয়নবণ্টনে সাফল্য দেখালেও অন্তত ১৫টি আসনে যোগ্যপ্রার্থী নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড। এক্ষেত্রে মনোনয়নবোর্ডের অন্তত ৫ জন সদস্যের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেক মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা।
তারা বলছেন, ওই ৫ সদস্যের নেতৃত্বে অঘোষিত একটি সিন্ডিকেট হয়েছে, যারা প্রার্থী নির্ধারণ করতে গিয়ে নিজেদের বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্ক বিচারের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছেন, তাদের দায়ী করা হচ্ছে সুবিবেচনা না করার অভিযোগেও। এসব কারণে দলে দীর্ঘদিন সক্রিয় ও আনুগত্য প্রদর্শন করেও সংস্কারপন্থীদের কাছে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন হাফডজন কেন্দ্রীয় নেতা, যাদের মধ্যে কেউ-কেউ ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসা নিতে যেতে হয়েছে আইসিওতে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে আসনবণ্টনের দর কষাকষির ক্ষেত্রে অন্তত ২০টি আসনে নীতি-নির্ধারকরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন মনে করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও জরিপ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের একাধিক দায়িত্বশীল। তারা বলছেন, লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তীক্ষ্ণ নজর ও তদারকি থাকার পরও অন্তত ১৫টি আসনে তাকে ভুল বুঝিয়ে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫ জনের একটি নতুন সিন্ডিকেট একসঙ্গে কাজ করেছেন। এই টিমে যারা আছেন, তাদের পেশাগত পরিচয়ের মধ্যে শিক্ষক, রাজনীতিক ও একজন ব্যারিস্টার রয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী নির্ধারণে জরিপ পরিচালনা করেছেন এমন একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রার্থী নির্ধারণ সামগ্রিকভাবে ভালো হলেও ৩৫টি আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে ঘটেছে চাঁদের কলঙ্ক। জোট-ফ্রন্ট ও দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে এই ৩৫টি আসনে নিরঙ্কুশ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মনোনয়ন বোর্ড। বিশেষ করে, বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, মনোনয়নবোর্ডের এমন একজন সদস্যের বিরুদ্ধে অন্তত ৫টি আসনে স্বজনপ্রীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।’
প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে কেন্দ্রের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে ইতোমধ্যে মাঠ গরম করেছে তৃণমূল বিএনপি। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সারাদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি আসনের নেতাকর্মীরা। গুলশানে ইট-পাথরের ঢিলে ভেঙেছে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এই বিক্ষোভ রবিবারও স্থায়ী হয়েছে দিনভর। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন নেতাকর্মীরা।
জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সূত্রটি বলছে, শেরপুর-সদর আসনে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয় হযরত আলীকে, ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তিনি বাদ পড়লেও দলের প্রতীক পেয়ে যান তারই মেয়ে সানসিলা জেবরিন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন জেলার আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পেছনে ফেলে। অভিযোগ হচ্ছে, বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তি নিজে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। একই পরিস্থিতি হয়েছে ময়মনসিংহ-৪ আসনে। এজেডএ জাহিদ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও তারই অনুসারী আবু ওহাব আকন্দ দলের টিকিট পান। এক্ষেত্রে ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খানকে বঞ্চিত করেন। বরগুনা-২ আসনে জনপ্রিয় নুরুল ইসলাম মনির পরিবর্তে দেওয়া হয় খন্দকার মাহবুব হোসেনকে। জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটির সূত্র জানায়, নুরুল ইসলাম মনিকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন না ওই ব্যক্তি। ময়মনসিংহ-৭ বিএনপির প্রার্থী ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের পরিবর্তে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীনকে দেওয়া হয়েছে দলীয় প্রতীক। বিষয়টি আকস্মিকভাবে ঘটেছে। এর কারণ রহস্যজনক বলেও মনে করেন জরিপ পরিচালনাকারীরা।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্যের পছন্দে কারাবন্দি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল ঢাকা-৮ এ নির্বাচনে আগ্রহী হলেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই সদস্য তাকে জোর করেই ঢাকা-৯-এ ঠেলে দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ এক ডজনের বেশি নেতা, যারা বিএনপির দুঃসময়ে ত্যাগী হিসেবে পরিচিত।
সংস্কারপন্থী নজির হোসেন সুনামগঞ্জ ১ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন পাননি সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন। ইতোমধ্যে সিলেটের একটি হাসপাতালে মিলনকে ভর্তি হতে হয়েছে। তার ঘনিষ্ঠ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কলিম আহমেদ মিলন এখন বাসায় আছেন। তিনি মনোনয়নবঞ্চিত হলেও নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।’
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, গত ১০ বছরে সুনামগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে রাখার পেছনে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা নেতাটি কলিম উদ্দিন মিলন। জেলার সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি জনপ্রিয়। এছাড়া সংস্কারপন্থী নজীর হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ায় জেলার পরবর্তী রাজনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এই প্রভাব অনেক বেশি ভয়ঙ্কর এবং বিএনপিকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলবে বলে মনে করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাহের শামীম। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি হতাশ। আমাদের মন খারাপ। পরবর্তী সময়ে দলকে অবশ্যই ভুগতে হবে।’
সিলেট বিভাগের একটি জেলার সভাপতি অভিযোগ করেন, ‘৫ জনের ওই সিন্ডিকেট অন্তত ৫০ আসনে মনোনয়নবাণিজ্য করেছে। ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা, এটা বিষয় নয়, তাদের কাছে বাণিজ্যই প্রধান ছিল।’
মনোনয়ন পাননি নারায়ণগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ৩০ ডিসেম্বরের পর মুখ খুলবো। আমার স্থলে যাকে দেওয়া হয়েছে, তার বিষয়ে বলার কিছু নেই। আমি চাই ধানের শীষ জিতুক।’
সিলেট বিএনপির এক নেতার অভিযোগ, ‘সিলেট-সদর আসনে ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে সরিয়ে আবদুল মুকতাদির চৌধুরীকে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগের বিএনপির নেতাকর্মীদের মানসিকতা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সিলেট সদর ও সিলেট-৬ আসনের মনোনয়ন সরাসরি লন্ডন থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণায় এই দু’টি আসনের মনোনয়ন নির্ধারণের খেসারত বিএনপিকে দিতে হতে পারে।’
ময়মনসিংহ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের স্থলে আলী আসগর মনোনয়ন পেয়েছেন। মানিকগঞ্জ-১ আসনে সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল হামিদ ডাবলুকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও রবিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকালে এসে তাকে বাদ দিয়ে এস এম জিন্নাহ কবিরকে চূড়ান্ত করা হয়। এ নিয়ে পুরো বিএনপিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে একইদিন বিকালে জনপ্রিয় শিল্পী মনির খানও মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন। শামসুজ্জামান দুদুর ভাষ্য, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে বিএনপি একজন বড়মাপের কণ্ঠশিল্পীকে হারালো। এটা বিএনপির পয়লা ক্ষতি!’
জরিপ প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র বলছে, ১৫টি আসনের সমস্যা বাদ দিলে ওভারঅল মনোনয়ন ভালো হয়েছে। নির্বাচনের আগে ৪টি জরিপ করায় বিএনপি। এর মধ্যে একটি বিশেষ জরিপ হয়েছে, চলতি বছরের মাঝামাঝি। তিনশ আসনের মধ্যে অন্তত ২০০ আসনেই সরাসরি জরিপের প্রতিফলন ঘটেছে। এক্ষেত্রে অন্তত ৬০ থেকে ৭০ আসনে একেবারেই নতুন প্রার্থীরা মনোনীত হয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইত্যাদি সবাইকে খুশি করতে গিয়ে অনেকের প্রত্যাশা অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। আমরা জোট ও ফ্রন্টকে নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করছি, এখন নির্বাচন করছি। সেক্ষেত্রে আমাদের তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে যে আসনে আমরা ছাড় দিয়েছে, সেখানে অন্য প্রার্থীর মাথায় তো আঘাত লাগবেই। এটাই তো সত্য।’
এদিকে, প্রত্যাশার বেশি আসন পেয়ে আনন্দিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যোগ্য প্রার্থী না থাকলেও অকাতরে বিএনপির আসন বিলিয়ে দেওয়ার কারণে ফ্রন্টের অনেক নেতাই অবাক হন। একইসঙ্গে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াত ও খেলাফত মজলিস ছাড়া বাকিরাও খুশি।
জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রবিবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের তো বরাবরই কোরবানি হতে হয়। আমাদের তিনটি সিট কম দিয়েছে। তদবির করার পরও তিনটি দিলো না, ২২টি পেলাম।’
জানতে চাইলে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, ‘যারা লন্ডন থেকে এসেছে, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। আমরা ২০ বছর ধরে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি, আমাদের মূল্যায়ন করা হয় না।’
বিএনপির জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটির একাধিক সদস্য জানান, ‘দরকষাকষিতে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। বিশেষ করে, অন্তত ১৫ আসনে জোট ও ফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে কথা বলে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া যেতো। এই আসনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কুষ্টিয়া-২। এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন জাপার আহসান হাবিব লিংকন, তার বদলে বিএনপির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম অনেক বেশি যোগ্য। দলের ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাকে অপছন্দ করেন। ব্যক্তিগতভাবে লিংকনের পক্ষ থেকে জোরেশোরে মনোনয়ন না চাইলেও তাকে দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জেএসডির সাইফুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই। সেখানে বিএনপির জালাল মুহাম্মদ গাউস জনপ্রিয় নেতা। পটুয়াখালীর স্থানীয় জনপ্রিয় নেতা মামুন হাসানকে সরিয়ে সদ্য আসা গোলাম মাওলা রনিকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যদিও মামুন হাসান স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন।
হবিগঞ্জ-২ আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনকে না দিয়ে খেলাফত মজলিসের আবদুল বাসিত আজাদকে ধানের শীষ দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির যুক্তি, হবিগঞ্জ-৪ ও ২ আসনে বিএনপি কখনোই বিজয়ী হয়নি। একই কারণে রংপুর-৩ আসনে রিটা রহমানকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ী হওয়া কঠিন।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জোটের মনোনয়ন পাচ্ছেন এলডিপির মাহবুব মোর্শেদ। তার বাড়ি গফরগাঁও হলেও তার নামডাকই নেই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে গণফোরামকে ৭টি আসন দিয়েছে বিএনপি। তাদের অন্তত চারটিতেই সন্তুষ্ট রাখতে না পারা নেগোশিয়েটের সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছেন জরিপ পরিচালনাকারী ও বিএনপির একাধিক নেতা। এছাড়া নাগরিক ঐক্যকে ২ টি আসনের স্থলে ৪টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে ২টি, জেএসডিকে ২টির স্থলে ৪টি দেওয়া বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
জরিপ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা জানান, আওয়ামী লীগ যেখানে তাদের জোটের বেশিরভাগ শরিককে কোনও আসনই দেয়নি, সেখানে ২০ দলীয় জোটের শরিক এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে একটি করে এবং এলডিপিকে ৫ টি আসন দেওয়ার কোনও কারণ নেই। এ বিষয়গুলো হয়েছে দরকষাকষির কৌশল সঠিকভাবে পরিচালিত না হওয়ায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ওভারঅল সংগ্রামের মধ্যে প্রার্থী বাছাই করতে হয়েছে বিএনপিকে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যারা ধানের শীষের প্রতীক পেয়েছেন, নিঃসন্দেহে তাদের অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সামনের পথ পাড়ি দিতে হবে।’