X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশে যা কিছু মহৎ অর্জন ও প্রাপ্তি সবই অর্জিত হয়েছে আ. লীগের আমলে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫০আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:১০

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভূখণ্ডের যা কিছু মহৎ অর্জন ও প্রাপ্তি, সবকিছু অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভিষিক্ত করা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধিকার এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার উৎখাত এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।’

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় দেশবাসী এবং দেশের বাইরে যারা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তাদেরও শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চার নেতা – সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপটেন এম মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা বোনকে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জানাচ্ছি সালাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, আমার তিন ভাই- ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল, কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জামিলসহ সেই রাতের সব শহীদকে। আজকের দিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশসহ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতৃবৃন্দকে। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য যাঁরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন সেই ভাষা শহীদদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ নেতা-কর্মীকে। স্মরণ করছি ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজউদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে এবং ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াত জোট পরিচালিত অগ্নি সন্ত্রাস ও সহিংসতায় যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ এছাড়া সেলিম, দেলোয়ার, নূর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, রাউফুন বসুনিয়াসহ স্বৈরাচার বিরোধী এবং ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে বিজয়ী করে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশত বার্র্ষিকীকে লক্ষ্য করে আমরা নির্বাচনি ইশতেহার রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। যার মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। ২০১৪ সালে দশম নির্বাচনের আগে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেছিলাম। আপনারা ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত সরকার পরিচালনার ম্যান্ডেট দিয়ে সেই রূপকল্প বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। সাফল্যের সবটুকু আপনাদের অবদান।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ আর্থিক দিক থেকে যেমন শক্তিশালী, তেমনি মানসিকতার দিক থেকে অনেক বলীয়ান। ছোট-খাটো অভিঘাত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে পারবে না। ২০১৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা দিয়েছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৭৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের উপর। দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ থেকে ২১.৮ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি আজ বাংলাদেশ। বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি’র আকার প্রায় ৫ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার কোটি থেকে প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩১তম। এইচ.বি.এস.সি’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আগে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন।

শূন্য কোষাগার, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন্ধ কলকারখানা নিয়ে জাতির পিতা পথচলা শুরু করেছিলেন। এক কোটি শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা ছিল এক দুরূহ কাজ। তার ওপর শুরু হয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এসব প্রতিবন্ধকতা এবং ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছিলেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছিল। আর তখনই দেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। তার হত্যার পর ১৯৭৫ পরবর্তী শাসকেরা বাংলাদেশকে পর-নির্ভরশীল, ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিল।

১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল। এ সময়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে। বাংলাদেশ মানেই ছিল বন্যা, খরা, জলোচ্ছাস, কঙ্কালসার মানুষের দেশ।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ১২ই জুনের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। একুশ বছর পর আবার বাংলাদেশের মানুষ মুক্তির স্বাদ পায়, জনগণের সরকার পায়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল। এই ৫ বছর ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ। আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। এ সময় আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং ভারতের সঙ্গে ৩০-বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি স্বাক্ষর করি। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করি এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন করি।

এছাড়া, কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দুস্থ-অসহায় মানুষের জন্য দুস্থ ভাতা, স্বামী-পরিত্যক্তা ও বিধবা মহিলাদের জন্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ইত্যাদি কর্মসূচি চালু করি। ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়। ২০০১-পরবর্তী ৫ বছর ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এক বিভিষীকাময় সময়। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে জনজীবন ছিল অতিষ্ঠ।
তিনি বলেন, যশোরে উদীচির অনুষ্ঠান, রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিস এবং পল্টনে সিপিবি’র সভায় বোমা হামলা, সিলেটে ব্রিটিশ হামকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ও আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে বোমা হামলা করে হত্যা চেষ্টা, ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট সারাদেশে প্রায় ৫০০স্থানে একযোগে বোমা হামলা, একই বছর গাজীপুরে বার ভবনে বোমা মেরে ১০ জন হত্যা, শরীয়তপুরে দুই বিচারক হত্যাসহ সারাদেশে অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এসব জঙ্গি গোষ্ঠি।

২০০৪ সালের ২১-এ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের র‌্যালিতে নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালোনো হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রাণে রক্ষা পেলেও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয় এবং ৫০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়। আহতদের অনেকেই এখনও শরীরে অসংখ্য স্প্রিন্টার নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় জীবনযাপন করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন,  ‘একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আবারও ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শ্লোগান সংবলিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমরা আমাদের ইশতেহার এমনভাবে তৈরি করেছি যাতে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারি। একইসঙ্গে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতা ২০১৮-এর নির্বাচনি ইশতেহারেও রক্ষিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি ইশতেহার পুস্তিকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে সবিস্তারে সব তুলে ধরা সম্ভব নয়।’

বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-পরিজনকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য, এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। এদেশের সাধারণ মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারেন – তা বাস্তবায়ন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা সাড়ম্বরে পালন করব। বাঙালি জাতির এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণ সামনে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই পারবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে। স্বাধীনতাবিরোধী কোনও শক্তি এসময় রাষ্ট্র-ক্ষমতায় থাকলে তা হবে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গ্লানিকর।’

তিনি বলেন, ‘তাই দেশবাসীর প্রতি আকুল আবেদন, আগামী ৩০ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করুন। আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দিব। ৪৭ বছর আগে ১৯৭১ সালে ৯ মাসের সশস্ত্র-রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি জাতি এবার স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে- এ বিশ্বাস আমার আছে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের ২১ অঙ্গীকার

 

 

/এসও/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, হিট অ্যালার্ট জারি
জিমি নেই, তারপরও খেলতে নামছে মোহামেডান
জিমি নেই, তারপরও খেলতে নামছে মোহামেডান
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!