৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা ভোট ডাকাতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।’
বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে মোহাম্মদপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন লোভ দেশ ও দেশের মানুষকে আজকের অবস্থায় এনে ফেলেছে। নানা টানাপড়েন থাকলেও দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান এবং ন্যূনতম নীতি-নৈতিকতাকে পদদলিত করে এই নির্বাচনকে সম্পূর্ণ প্রহসনে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি দলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করে। সবকিছু মিলিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটের মৃত্যু ঘটায়, যা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে সংঘটিত হওয়া অসম্ভব। মানুষের ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের যে ঘৃণা আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা অর্জন করলেন তা দেখে আমরা মর্মাহত এবং আতঙ্কিত।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। তাই দেশের ও মানুষের স্বার্থে এই নির্লজ্জ ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।