X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস দূর করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৯আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০০

সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিগত নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। জনগণ এই ভোট দিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সরকার, জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মী সবাই মিলে সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ দূর করতে হবে। মাদক আর সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, বিজয় পাওয়া কঠিন কিন্তু সেই বিজয় ধরে রাখা আরও কঠিন। জনগণ রায় দিয়েছেন শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে। তারা শান্তি চায়। তারা উন্নয়ন চায়, চায় বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাক। তাই সবাইকে জনগণের সেবা করার দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’
শরিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাদেক খান, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল চৌধুরী শোভন।
সভা শুরু হওয়ার আগে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সংস্কৃতি অঙ্গনের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। বিজয় সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীরা শিল্পীদের বিভিন্ন পরিবেশনায় নাচে-গানে আনন্দে মেতে ওঠেন। এছাড়া মহানগর যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের লাল-সবুজ রঙয়ের ক্যাপ-গেঞ্জি ও দলীয় পতাকায় ভিন্ন মাত্রা পায় বিজয় উৎসব।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিভিন্ন রাজনৈতিক দল) এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে অর্থবহ করেছে। জয়-পরাজয় একটা নির্বাচনে স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি এটুকু তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় ভোট পেয়ে জয় পেয়েছে এটা সত্য কিন্তু যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাতে এসেছে, যখন দায়িত্ব পেয়েছি জনগণের সেবা করার, যখন দায়িত্ব পেয়েছি মানুষের জন্য কাজ করার; তখন আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, দল-মত নির্বিশেষে সকলের জন্যই আমাদের সরকার কাজ করে যাবে। প্রত্যেকের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে সরকার। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষের জীবনমান উন্নত করবো, সেখানে কোনও দল বা মত দেখা হবে না। প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সেবা করার দায়িত্ব জনগণ আমাদের দিয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে। সেই ভোটের সম্মান যাতে থাকে, অবশ্যই আমরা সেই বিষয়টা সবসময় মাথায় রেখে সার্বিকভাবে সুষম উন্নয়ন করে যাবো দেশের জনগণের স্বার্থে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আরও আধুনিকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জনগণের এই রায় হচ্ছে, সেই আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পক্ষে রায়। এই রায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে রায়। এর ভিত্তিতে আমি বলবো, বাংলার মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের কোনও স্থান হবে না। দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের স্থান হবে না, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। আমরা যে অঙ্গীকার করেছি, সে অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে-অক্ষরে পূরণ করবো। আজকের এই সমাবেশে আমি সে কথাই বলে যেতে চাই, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি। ব্যক্তিগত জীবনে কোনও চাওয়া-পাওয়া আমার নেই। স্বজন হারানোর সেই বেদনা নিয়েও এই দেশকে গড়ে তুলবো। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে, যে বাংলাদেশে একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। মানুষ ঘর পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। তরুণ সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার ভোট দিয়ে আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো আগামী দিনের সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়। বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে একটি অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন এবং পরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অন্যদের নিয়ে শেখ হাসিনার হাতে অভিনন্দনপত্র তুলে দেন। সমাবেশটি পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

/এমএইচবি/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা