বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিন আজ শনিবার (২৬ জানুয়ারি)। তার ৭৩তম এ জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
১৯৪৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মির্জা ফখরুল শনিবার সকালে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে গেলে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
নেতাকর্মীদের দেওয়া শুভেচ্ছার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৃদ্ধ মানুষকে জন্মদিনের কথা বলা মানে মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। এখন জন্মদিন মানে জীবন থেকে আরও একটা বছর চলে যাওয়া তা মনে করিয়ে দেওয়া।’
মির্জা ফখরুল ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন।
এর আগে মির্জা ফখরুল কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) মির্জা ফখরুল ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।
শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন মির্জা ফখরুল। ১৯৮০-এর দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন।
নিজের সম্পর্কে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ১৯৭০ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে শিক্ষকতার জন্য পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, এমন ধারণা করেছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটে শিক্ষকতাকেই উপযুক্ত পেশা হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যন্ত ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে ফিরে আসেন। পরের বছর তিনি যোগ দেন বিএনপিতে।
ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
