X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঐক্যফ্রন্ট ও বামজোটের ‘না’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:১১আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৫

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো আমন্ত্রণ পত্র

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা চক্রের আমন্ত্রণে যাওয়ার আগ্রহ নেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের। শুধু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারাও প্রাথমিকভাবে গণভবনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে জোটগতভাবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন দেশে এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে জোটের নেতারা দাওয়াতে না যাওয়ার পক্ষে।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যাওয়ার বিষয়ে পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে না যাওয়ার। ড. কামাল হোসেন দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা কখনও প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াত চাইনি। আর দাওয়াতে যাওয়ার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

জোটের নেতারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে। আর সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি নতুন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চান, তাহলে ঐক্যফ্রন্ট আমন্ত্রণে যেতো। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা চক্রের। ফলে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সেই আমন্ত্রণে যাবেন না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দাওয়াতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও আলোচনাও হয়নি। আর চায়ের দাওয়াতে যাওয়ার কী আছে।            

সুব্রত চৌধুরী বলেন, এমনিতে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। ভোট না দিতে পেরে মানুষ ক্ষুব্ধ। এখন একটা ভোটের দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ চায়। সেটা না হলে এসব চা পান বা শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তো দাওয়াতে যাওয়ার কোনও দরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংলাপ দরকার। আর এটাই হচ্ছে এখন জাতীয় ঐক্য। সুতরাং এখন যদি প্রধানমন্ত্রী কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করে সেটা হবে নতুন নির্বাচনের জন্য।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণে যেতে জোটের কেউ আগ্রহী নয়। সবার একটাই কথা একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এই নির্বাচনের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর কিছু নেই এবং চা পানেরও দরকার নেই।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই আমাদের।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চা খেতে প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে যেতে হবে কেন? চা খাওয়ার জন্য অনেক জায়গা আছে। দেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের পাশাপাশি শাসক দলের নেতারাও বিব্রত। তাদের সেই বিব্রত ভাবটা এখনও কাটেনি। আর নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ পিঠা উৎসব এবং ভোজ করছে। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার জন্য ডাকতেই পারেন। তবে  কী আলোচনা সেটা পরিষ্কার না হলে সেখানে গিয়ে তো কোনও লাভ নেই।   

প্রসঙ্গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপে অংশ নেওয়া ৭৫টি দলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গতকাল ২৬ জানুয়ারি  এসব দলের নেতাদের চা চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় গণভবনে এই অনুষ্ঠান হবে।

/এএইচআর/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাভিকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট
জাভিকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলে অস্ত্র বহনকারী জাহাজকে  নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
ইসরায়েলে অস্ত্র বহনকারী জাহাজকে নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সুযোগ-সুবিধা অনেক বৃদ্ধি করেছেন: আইজিপি
প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সুযোগ-সুবিধা অনেক বৃদ্ধি করেছেন: আইজিপি
ঈদ উপলক্ষে বাজারে এলো ওয়ালটনের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পণ্য
ঈদ উপলক্ষে বাজারে এলো ওয়ালটনের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পণ্য
সর্বাধিক পঠিত
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বিতর্ক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বিতর্ক