কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, তার দল এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর আগে দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলার করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কোনও প্রার্থী মামলা করবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এ সরকারের আজ্ঞাবহ। মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি অজুহাতে তারা তা খারিজ করে দিতে পারে। তাই আমরা মামলা করবো না।’
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ডাকাতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই ভোট ডাকাতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের জনগণ। তার থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ ও এ দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন মানুষের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। তারা হয়তো হয়তো ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সদস্য সুলতান মনসুরের শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কোথায় ছিলেন আমি জানি না। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন। তার শপথ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। তিনি হয়তো ভাবতে পারেন তিনি শপথ নেবেন। কারণ ৩০ ডিসেম্বর কোনও নির্বাচন হয়নি। জনগণ কাউকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি।’
তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন কি নেবেন না এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ‘অবৈধ সরকারের’ প্রধানমন্ত্রীল এত মাথাব্যথা কেন। অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক ইকবাল সিদ্দিকী, কুডি সিদ্দিকী প্রমুখ।