২৯ ডিসেম্বর রাতের মতো ডাকসু নির্বাচনের ঘটনা ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকাস্থ দাউদকান্দি উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত সংগঠনের সাবেক সভাপতি মরহুম শাহজাহান চৌধুরী স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গৌরব, ঐতিহ্য রয়েছে তা ভুলে গিয়ে ঠিক ২৯ ডিসেম্বর রাতের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হলের মেয়েদের কাছে ধরা পড়েছে তারা রাতে ভোট দিয়ে রেখেছে। এর থেকে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঐতিহ্য তা সম্পূর্ণভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। আমাদের যে গৌরব তা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে।’
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিও ছিলাম। ২১ বছর শিক্ষক ছিলাম। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য আছে, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত আন্দোলন আছে, সেখানে ডাকসুর অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। সব আন্দোলনে কিন্তু এই ডাকসু নেতৃত্ব দিয়েছে। ২৮ বছর পর গতকাল সেই ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল। কিন্তু এখানেও যেহেতু সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন আছে, তাদের মুরুব্বিরা যেভাবে ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি করেছেন তারাও তেমনটাই করেছেন।’
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের উপনির্বাচন নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি উপনির্বাচন হলো। সেন্টারে যারা ভোট নিবেন, তারা বসে আছেন ভোটারের অপেক্ষায়। ভোটার নাই। কেননা এই ভোটাররা অভিমান করেছে। অসন্তুষ্ট, ক্ষুব্ধ। তাই তারা ভোট দিতে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই।’
মরহুম শাহজাহান চৌধুরীকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘শাহজাহান চৌধুরীর মনে কোনও কূটকৌশল ছিল না। সাধারণ সহজভাবেই সবকিছু বুঝতো। আবার সহজ সরলভাবে সব কিছু বলতেন। তাতে সাময়িকভাবে তার প্রতি অনেকেই অসন্তুষ্ট হতেন। কিন্তু আবার পরে দেখা যেত তিনি ঠিকই বলেছিলেন। শাহজাহান চৌধুরী আমার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিশ্বস্ত সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। অসুস্থ থেকেও সে এই নির্বাচনে দাউদকান্দি গিয়ে আমার নির্বাচনের প্রচারণা অংশগ্রহণ করেন।’
স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ এবং সংগঠনের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।