গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কোনও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের পেটে ছুরি মারতে আবারও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার। লুটপাটের জন্য বেআইনিভাবে শতকরা একশত ভাগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, যা বেআইনি ও মনুষ্যত্বহীন পদক্ষেপ।’
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গ্যাসের দাম বাড়লে শিল্প কারখানার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এতে মানুষের কর্মসংস্থানও বাধাগ্রস্ত হবে। এমনিতেই বেকারত্বের মাত্রা বাড়ছে। এখন ঘরে ঘরে বেকারের কারখানা তৈরি হবে। পরিবহন ব্যবসায়ীরা ভাড়া বাড়াবেন। সব মিলিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে।’
গত ১০ বছরে গ্যাসের দাম ৬ বার বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এক চুলায় গ্যাসের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা আর দুই চুলায় ৮শ থেকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার প্রস্তাব করছে সরকার।’ ভারতে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি প্রতি ঘনমিটারে ৬ মার্কিন ডলার খরচ পড়লেও বাংলাদেশে তা ১০ ডলার খরচ পড়ছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা কেন? বাড়তি টাকা যাচ্ছে রাঘব বোয়ালদের পকেটে। মূল্যবৃদ্ধিতে বেশুমার দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘৭৪ বছর বয়সী এই নেত্রীকে চিকিৎসা না দিয়ে ছোট অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ফেলে রেখে নারকীয় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এসব করা হচ্ছে শেখ হাসিনার নির্দেশে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসতে হবে সরকারকে। অন্যথায় দাবি আদায়ে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।