বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আপনারা আইনের শাসনের কথা বলবেন আবার বিচার মানবেন না- এ দ্বৈতনীতি থেকে সরে আসতে হবে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। আইনের শাসন মানতে হবে, বিচার মানতে হবে।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ইনোভেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন ইন দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন পার্সপেকটিভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা একদিকে বলেন আইনের শাসনের কথা, আরেকদিকে যখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নেতা খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে থাকেন তখন বলেন তাকে মুক্ত করতে হবে। আপনাদের আসলে কথা এবং কাজের মধ্যে মিল নেই। কী চান আপনারা সেটা নিজেরাই জানেন না।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি থাকলে একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। পশ্চিমা অনেক দেশের নির্বাচনে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে না। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হলে সেখানে অনেক ভোট হিসাব করা হয়। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী সেহেতু এখানে ভোট কাস্ট একটু বেশি হয়। সেই হিসেবে ৪৫ শতাংশ যথেষ্ট। আমরা বিএনপিকে বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে অংশ নেননি কেন? আপনারা নির্বাচনে অংশ নিলেই তো ভোটের সংখ্যা আরও বেড়ে যেত। আপনারা চান বেশি সংখ্যক ভোটার আসুক, আবার নির্বাচনে অংশও নেবেন না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যদি আমাদের দেশে বিএনপি-জামায়াতের মতো নেতিবাচক রাজনৈতিক দল না থাকতো, তাদের কর্মকাণ্ড না থাকলে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। আজকে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত, সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ভালো কাজকে বাধাগ্রস্ত করে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই হচ্ছে এই দলটির কাজ।
হানিফ বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা ওঠে। যেমন, ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতি নিয়ে অনেক কথা উঠছে। ইভিএম পদ্ধতি যদি ব্যবহার করা যায়, এখানে ব্যালট পেপারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। যার ফলে এ ধরনের অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন করা সম্ভব।