X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাজেটকে যেভাবে দেখছেন শরিকরা

এস এম আববাস
১৩ জুন ২০১৯, ২০:২০আপডেট : ১৩ জুন ২০১৯, ২১:৫২

ছবি (বাম দিক) থেকে রাশেদ খান মেনন, মাইনুদ্দিন খান বাদল ও হাসানুল হক ইনু ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শরিক দলের সংসদ সদস্যরা। তারা বলছেন বাজেটে বেশকিছু বিষয় অস্পষ্ট এবং এটা অনেকটাই স্বপ্নচারী। সংসদ অধিবেশন শেষে বাইরে এসে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন নেতারা।

বাজেট উপস্থাপনা শেষ হলে এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বাজেটে বলা হয়েছে যে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ, এটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। একইসঙ্গে বলা হয়েছে সময় এখন বাংলাদেশের, কিন্তু সময় আমাদের এ বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আমরা মানে এই জনগণ, বাজেটের এই সমৃদ্ধির পেছনে কাজ করা সেই জনগণ, শ্রমিক, কৃষক, উদ্যোক্তা, নারী এদের বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলা নেই। সম্পদ পুনর্বণ্টনের বিষয়েও কোনও ইঙ্গিত নেই।

তিনি আরও বলেন, এখানে মুষ্টিমেয় ধনিক গোষ্ঠীর হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে। একটা বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের সহায়তার কথা এক লাইনে বলা আছে। নির্দিষ্ট কিছু আমি পাইনি। দারিদ্র্য নিরসনের ক্ষেত্রে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও, এই সময়ের মধ্যে যুব সমাজের কী হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় জাসদের একাংশের সভাপতি মাইনুদ্দিন খান বাদল বলেন, বাজেট পুরোটা শুনে মনে হল স্বপ্নচারী হতে মানা নেই, বাস্তবতা ভিন্ন কথা।

তবে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর মতে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আমরা (২০১৪ সাল থেকে ২০১৮) যেসব বাজেট দিয়েছি, প্রতিবছরই বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য কিনা। আমি আপনাদের তথ্য দিয়ে বলবো— গত ১০ বছরে যেসব বাজেট দিয়েছি, তা বাস্তায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সামস্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সফল হয়েছি। মূল্যস্ফীতি ৬ এর নিচে রাখতে সক্ষম হয়েছি। প্রবৃদ্ধি ৭ এর ঘরে নিয়ে গেছি। এরপর আমরা ৮ এর ঘরের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এগিয়েছি। আমরা দারিদ্র্য কমাতে এবং রাজস্ব বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। জিডিপি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। কর্মসংস্থান বাড়িয়েছি। সবকিছু মিলে আমি মনে করি বড় বাজেট দেওয়ার সক্ষমতা শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন। সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনারও সক্ষমতা শেখ হাসিনার সরকার অর্জন করেছে। সে দিকে তাকিয়ে বলবো এই বাজেট অত বড় বাজেট না। যেহেতু এই বাজেটে ৮ এর ওপরে প্রবৃদ্ধি রাখার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা আছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ঘোষণাও আছে, সুতরাং আমি মনে করি এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য।

সুতরাং বাজেটকে অর্জনযোগ্য সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য যে ঝুঁকি বলা হয়েছে, তার সঙ্গে আমি একমত না। একমত না এজন্য যে, রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য করের পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। আয়করের আওতা বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও আমি বলবো এই বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইতিবাচক দিক— শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। স্কুল-কলেজ এমপিভুক্ত করার জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এটা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে- প্রবাসী আয়, প্রবাসী আয়ের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এই প্রণোদনা কীভাবে দেওয়া হবে তারও নজরদারি থাকা প্রয়োজন। তা না হলে দুর্নীতির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

/এইচএএইচ/এসও/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা