প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে ‘গণবিরোধী’ বলেছে খেলাফত মজলিস। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত এ বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় দলটি বলেছে, ঋণনির্ভর এ বাজেটে সাধারণ জনগণের লাভ হবে না।
গণমাধ্যমে পাঠানো খেলাফত মজলিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে, যা মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে। এ বাবদ শুধু সুদ দিতে হবে ৫৮ হাজার ২৮ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১০.৯%। অন্যদিকে জনগণের ওপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ট্যাক্স-ভ্যাটের অর্থ দুর্নীতিবাজদের হাতে চলে যায় বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছে। নতুন বাজেটের ফলে মোবাইল ব্যবহার ব্যয়, এলপি গ্যাস, চিনি, রড, বিভিন্ন গৃহস্থালী সামগ্রী, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইত্যাদির দাম বাড়বে।
‘বুর্জোয়াবান্ধব’ এ বাজেটে সাধারণ জনগণের কোনও কল্যাণ হবে না দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, গরিব মারার এ বাজেট জনগণের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরও পড়ুন...
অর্থ আসবে যেসব খাত থেকে
বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন ভ্যাটমুক্ত
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জনপ্রশাসনে, কম শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিসে
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আ.লীগের আনন্দ মিছিল
জিডিপির আকার ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা
ডাক ও টেলিযোগাযোগে বরাদ্দ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা
নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে এই বাজেট অসম্পূর্ণ: সিপিডি
মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বাড়বে ২ হাজার টাকা
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, কমতে পারে
সুনীল অর্থনীতিতে জিডিপি বাড়বে ২ শতাংশ