কাউন্সিলের মনোনয়ন ফরম বিতরণ বন্ধের শর্তে শনিবার (২৯ জুন) পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছে ছাত্রদলের বিগত কমিটির বয়স্ক নেতারা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সিনিয়র সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা শনিবার পর্যন্ত প্রোগ্রাম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, ওই দিন পর্যন্ত ফরম বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান ছাত্রদলের ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাত আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে এই বৈঠক।
এ সময় নতুন কমিটি গঠনের জন্য ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির ক্ষুব্ধ নেতাদের কাছ থেকে শনিবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা। জবাবে ক্ষুব্ধ নেতারা বলেন, সেক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের জন্য ফরম বিতরণ ওইদিন পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তাদের দাবি মেনে নেওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতাদের কাছে তাদের দাবি-দাওয়া জানতে চান। এ সময় ছাত্রনেতারা তাদের আগের তিনটি দাবির সঙ্গে নতুন করে দলের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি তোলেন। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- বয়সসীমা না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠন করা। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ মাসের স্বল্পকালীন এবং পরের কমিটিও এক বছর মেয়াদে গঠন করতে হবে।
এরআগে, কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনে ২০০০ সালের মধ্যে এসএসসি পাসের বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় ছাত্রদলের সৃষ্ট সংকট সমাধানে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিকে দায়িত্ব দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দায়িত্ব পাওয়ার পর দলের দুই নেতা মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাত্রদলের ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে নানা মাধ্যমে কথা বলেছেন।