অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও গ্যাসের অপচয় রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। গ্যাসের এ অপচয়কে না ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপানো হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগকে মানায় না, এটা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে মানায়। সাধারণ মানুষের পকেট কাটা সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২ জুলাই) গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী চালক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিকের রিপোর্ট হিসেবে যে সাত লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, তা দিয়ে ১৮টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেতো। মেট্রোরেলের অনেক কাজও এখান থেকে করা যেতো। মোবাইল ফোন কোনও বিলাসবহুল বিষয় না। সেই মোবাইল ফোনের রিচার্জ থেকেও শতকরা ২৭ টাকা সরকার নিয়ে যাবে। বাজেট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, যাত্রী সংকটে পড়েছে পরিবহনগুলো। দুর্বৃত্ত ও লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে এ সরকার। এ সরকারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে হবে।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, তিতাস গ্যাস একটি পূর্ণ লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের রাজস্ব পাওনা রয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। ডেসা, ডেসকো মিলে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরের পাওনা ২৫ হাজার কোটি টাকা। মোট ৪৫ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে আওয়ামী লুটেরাদের সুবিধা দিচ্ছে সরকার। সেসব দুর্নীতি, লুট না থামিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির দেওয়া সারাদেশে বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানানো আহ্বান জানিয়ে আলাল বলেন, গণবিরোধী এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। জনগণ এক হলে গ্যাসের দাম কমাতে সরকার বাধ্য হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দীন কবিরের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক তালুকদার, মুক্তার আকন্দ প্রমুখ।