X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সামরিক সদস্যদের হত্যায় জিয়া স্লিপ দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করেছে অবৈধ ট্রাইব্যুনাল’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৫৮আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২৫

‘সামরিক সদস্যদের হত্যায় জিয়া স্লিপ দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করেছে অবৈধ ট্রাইব্যুনাল’ জিয়াউর রহমানের নির্দেশে দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্লিপ দিয়েছেন কাকে হত্যা করতে হবে, আর একটি অবৈধ ট্রাইব্যুনাল সেই আদেশ বাস্তবায়ন করেছে। কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, কাউকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ পর্যন্ত পরিবারের কেউ পায় নাই।

বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সাতাত্তরের ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা’ আয়োজিত ‘খুনি জিয়ার ষড়যন্ত্রে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের তদন্ত সাপেক্ষে নির্দোষ প্রমাণের দাবি’তে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার কয়েক বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, তখন দেশে মাত্র ৮ পাউন্ড বৈদেশিক মুদ্রা আর সাড়ে সাত কোটি মানুষ। তখন ৪৬৪ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে বঙ্গবন্ধু তার পথ চলা শুরু করেছিলেন। যখন তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু দেশটাকে দরিদ্র দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে নিয়ে আসলেন, সেই সময় আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরা জিয়াউর রহমানের মতো চক্রান্তকারীদের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো। সে হত্যার মাধ্যমে শুধু ক্ষমতা দখল করা হয়নি, দেশে হত্যার রাজনীতিও চালু করা হলো। শেষ সময় দুই থেকে আড়াই হাজার সামরিক বাহিনীর মেধাবী সদস্যদের হত্যা করা হয়। আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে সকল হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই।

বাহার দাবি করেন, ভুক্তভোগী পরিবারের মানুষেরা চায় নতুন করে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক। ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করে আবার পুনরায় সে বিচার কার্যক্রম চালু করা হোক। এরআগে, সেই অবৈধ ট্রাইব্যুনালে বসে যারা রায় দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মানববন্ধনে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সাবেক সংসদ সদস্য মেহজাবিন খালেদ, বোয়াফের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া সেনা এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

/এইচএন/টিটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা