X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংগ্রাম কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৩৮আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৪০

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির মিছিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে খারিজ করে দেওয়ার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ কথা বলেন তিনি।  বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।

রবিবার  (১৫ ডিসেম্বর)   পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালি টাওয়ারের সামনে থেকে  বিক্ষোভ মিছিল বের করা  হয়।  মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। পুলিশ মিছিল থেকে  চার জনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন রিজভী। 

দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন,  ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণমাধ্যমের মত প্রকাশ ও মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কারও সঙ্গে কারও মতের মিল না থাকতে পারে। রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়।’

মিছিল শেষে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘খন্দকার মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া। যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত না-ই থাকবেন, তবে খন্দকার মোস্তাক তাকে কেন সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন?’ ১৯৭০ সালে মেজর পদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন কেএম সফিউল্লাহ৷ ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমান কেএম সফিউল্লাহকে ডেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে বলেন।  তখন দেশে সামরিক বাহিনীর প্রধান অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন এমএজি ওসমানী। সফিউল্লাহর পদবী তখন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিল (যুদ্ধের সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। তিনি সেনাপ্রধান হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে হয় এবং তাকে পূর্ণ কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়৷ অথচ জিয়াউর রহমান ছিলেন সে সময়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।  কেএম সফিউল্লাহ ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর তিনি মেজর জেনারেল পদবী লাভ করেন। তার সঙ্গে জিয়াউর রহমানও পদোন্নতি পেয়ে উপ সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা তো পদোন্নতি পাবেন এটা স্বাভাবিক। সেটা যখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন। সুতরাং শহীদ জিয়া কারও বদান্যতায় সেনাবাহিনীর প্রধান হননি। তিনি নিজের যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন।’’

রিজভী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন৷ সেসময়ই তো শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। অথচ ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর কেএম সফিউল্লাহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন আর ইংল্যান্ড। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু এ দেশের মানুষের কাছে তিনি (জিয়া) একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। জনগণের মাঝে শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা অত্যন্ত উঁচুমানের। তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোনও লাভ হবে না।’

মিছিলে অন্যদের মধ্যে মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  আহসানুল্লাহ হাসান, দফতর সম্পাদক  এবিএম আবদুর রাজ্জাক সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

/এএইচআর/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ