গুণগতমানের দিক থেকে বাংলাদেশের ১ নম্বর ব্র্যান্ড হিসেবে স্থান করে নিয়েছে রিয়েলমি। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ কোয়ালিটি নিশ্চিত করায় তরুণ ডিভাইসপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্র্যান্ডটি।
টিএমটি (টেকনোলজি, মিডিয়া ও টেলিকম) খাতের পণ্যের বিষয়ে বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ (সিটিএমআর) সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্প্রতি বাংলাদেশে জরিপ পরিচালনা করেছে রিয়েলমি বাংলাদেশ। জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের গুণগতমান বা কোয়ালিটি নিয়ে গ্রাহকরা কী ভাবেন— এই বিষয়ে সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, স্মার্টফোন কেনার সময় পণ্যের কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা। স্মার্টফোন বিল্ড কোয়ালিটির ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমিকে বাছাই করেছেন ৫৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী উত্তরদাতা।
এছাড়াও, পণ্যের মান অত্যন্ত ভালো হওয়ায় অন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের রিয়েলমি’র ফোন কেনারও পরামর্শ দেন ৮৩ শতাংশ স্মার্টফোন গ্রাহক। এছাড়াও, কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ত্রৈমাসিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট ট্র্যাকার অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের ক্ষেত্র আরও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্মার্টফোনের বাজারের ৮০ শতাংশের দামই ছিল ২০ হাজার টাকার মধ্যে, যেখানে ফোনের গড় বিক্রয় মূল্য (এএসপি) ২০ হাজার ৭০০ টাকা।
সিটিএমআর-এর এই জরিপে এক হাজারেরও বেশি স্মার্টফোন গ্রাহক অংশগ্রহণ করেছেন। সমীক্ষায় সকল শ্রেণির গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ইংরেজি ও বাংলায় প্রশ্ন ব্যবহার করে বহুভাষিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে, জরিপটিতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।
কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ-এর করা সমীক্ষা অনুযায়ী, স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তরুণদের একটি ব্যতিক্রমী নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্যে সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছে রিয়েলমি। তরুণদের চাহিদা বোঝার সক্ষমতা তৈরিতে গবেষণা পরিচালনা করে থাকে এই ব্র্যান্ড। কেননা ব্র্যান্ডগুলো ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশিত গুণগত মানসম্পন্ন ফোন সরবরাহ করলে তারাও বিষয়টিকে মূল্যায়ন করে। তাই সিটিএমআর-এর সমীক্ষারে উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের ১ নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে রিয়েলমি।
জনসাধারণের হাতের নাগালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে স্মার্টফোনের বাজারে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। ডিভাইসের গুণগতমান বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশে রিয়েলমি’র সাফল্যের কৃতিত্ব দেওয়া যায় এর কৌশলগত বিপণন উদ্যোগ এবং ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করার বিষয়টিকে। “ডেয়ার টু লিপ” মূলমন্ত্র নিয়ে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কাই লি’র রিয়েলমি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ডিভাইসের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রয় এবং মার্কেট শেয়ারের আধিপত্য ব্র্যান্ডের উত্তরোত্তর সাফল্যকে নির্দেশ করে, যা ব্র্যান্ডের নতুন স্লোগান ‘মেক ইট রিয়েল’-কে প্রতিফলিত করে।
দেশের স্মার্টফোনের বাজারে প্রথম রিয়েলমি-৮ ৫জি চালুর পর থেকে সর্বশেষ নোট ৫০ চালু হওয়া পর্যন্ত, ব্র্যান্ডটি ধারাবাহিকভাবে নানা ফিচার সমৃদ্ধ অভিনব ডিভাইস সরবরাহ করে চলেছে।
বাজারে ছাড়ার পরপরই বেশ সাড়া ফেলে দেয় রিয়েলমি’র বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোনগুলো। প্রতি বছর অনলাইন শপিং স্টোর দারাজে ফোন সহজলভ্য হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাজার হাজার স্মার্টফোন বিক্রির রেকর্ড রয়েছে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের। তাছাড়া, রমজান ও ঈদের প্রচারাভিযানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ব্র্যান্ডের তালিকায় রিয়েলমি ডিভাইসের শীর্ষ অবস্থান ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি’র জনপ্রিয়তা ও বাজারে এর নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানকে নির্দেশ করে।
ভোক্তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে এবং তাদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে, রিয়েলমি বাংলাদেশে একটি পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করে চলেছে। স্মার্টফোনের বাজার বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি, রিয়েলমি মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ এবং সারা দেশে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সব সময়ই প্রস্তুত। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে রিয়েলমি বাংলাদেশি তরুণদের জন্য একটি অবিসংবাদিত পছন্দ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রেষ্ঠত্বের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।