বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে আগে ব্যাট করে রাজশাহী কিংসকে ১২৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে খুলনা টাইটানস। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে খুলনা ৯ উইকেটে করেছে ১২৫ রান।
খেলতে নেমে অপয়া রানআউটের জোড়া আঘাতে দুই ওপেনারকেই হারায় টসে জিতে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইটানস। প্রথমে ফিরে যান হাসানুজ্জামান। কেসরিক উইলিয়ামসের বল কাভারে পুশ করে সিঙ্গলস চুরি করতে চেয়েছিলেন আবদুল মজিদ। কিন্তু একটু এগিয়ে আবার উল্টো পথ ধরেন মজিদ, হাসানুজ্জামান ও মজিদ দুজনেই যখন ব্যাটিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে তখন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান দৌড়ে অন্য প্রান্তে এসে উইকেট ভেঙে দেন। ১ রানে বিদায় নেন হাসানুজ্জামান।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে হাসানুজজ্জামান আর দুই বল পরে একই ধারায় বিদায় নেন ১১ রান করা অব্দুল মজিদ। মজিদ এবার বল ড্রাইভ করেছিলেন মিড অনে,নন স্ট্রাইকার নিকোলাস পুরান ‘না’ সংকেত দিলে মজিদ ফিরতি পথ ধরেন তবে মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রো উইকেট ভেঙে দিলে থার্ড আম্পায়ারের রায়ে রান আউট হন মজিদ।
এরপর নামেন শুভাগত হোম। তবে তার নামার স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি! চার রান করার পর ফরহাদ রেজার মিডল স্টাম্পের ওপর পড়া বল ফ্লিক করে মিড অনে নাজমুল হোসেন অপুর হাতে বল পৌঁছে দেন শুভাগত। এরকম অবস্থায় দলের রানের চাকায় গতি দিয়ে যান উইন্ডিজ উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরান। ১০ বলে ২টি চার ও দুটি ছক্কায় ২২ রান করেন। কিন্তু কিশোর স্পিনার আফিফ হোসেনের বাড়তি ফ্লাইটের বলে লং অন দিয়ে ছক্কা মারার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। বলটি সহজ ক্যাচ হয়ে যায় ফরহাদ রেজার হাতে। তার এই ইনিংসে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নেয় খুলনা। এরপর ফরাসি বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল এসে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। তাকে ১২ রানে ফেরান সামিত প্যাটেল। বলের বাঁকের বিরুদ্ধে মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে উল্টো দিকে ড্যারেন স্যামির হাতে ক্যাচ দেন হাওয়েল।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেই এগিয়ে চলে খুলনা। কিন্তু ১৪ ওভারের প্রথম বলে সামিত প্যাটেলকে উড়িয়ে মেরে লং অনে নাজমুল হোসেন অপুর ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন। যাওয়ার আগে ২৮ বলে ২২ রান করেন খুলনা অধিনায়ক। আর এ ওভারের পঞ্চম বলে কেভন কুপার চার রানে কট বিহাইন্ড হলে শেষ হয়ে যায় খুলনার বড় সংগ্রহের আশা। যদিও শেষ দিকে আরিফুল হকের ২৯ বলে ৩২ রান ছিল খুলনার জন্য বড় টনিক। দুটি চার ও একটি ছক্কায় তার এই অপরাজিত ইনিংসে লড়ার রসদ পায় খুলনা। আর এটিই ছিল খুলনার ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে অবশ্য খুলনার পক্ষে টেইলএন্ডার নাইম ইসলাম জুনিয়র রানের খাতা খুলতে পারেননি। মোশাররফ হোসেন রুবেলও বিদায় নেন চার রানে। আরিফুলের সঙ্গে জুনায়েদ খান এক রানে নটআউট ছিলেন।
১৯ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন সামিত।
/আরএম/এফআইআর/