দেশের নারী ক্রিকেটে সেই একই গল্প। একই চিত্র। প্রায় প্রতি সিরিজেই ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচের পর ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে। কোনোরকমে বোলাররা একশর আশপাশে প্রতিপক্ষকে বেধে আটকাতে পারলেই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয় মেয়েদের। কিন্তু রান যদি দেড়শর আশপাশে হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ব্যাটারদের আত্মাহুতিতে নিশ্চিত হার। এটাই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ ভারতকে ১৪৫ রানে বেঁধে দেওয়ার পর টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১০১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। লেগ স্পিনার রাবেয়া খাতুনও মনে করেন ব্যাটারদের সমর্থনের অভাবেই হার এড়ানো যাচ্ছে না।
রবিবার সিলেটে ভারতকে অল্প রানে আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ রাখেন লেগ স্পিনার রাবেয়া। মাত্র ১৮ রান খরচায় তার শিকার তিনটি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪৬ রান, বড় কোনও লক্ষ্য নেই। এমন লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এই সময় তারা তিন উইকেট হারায় মাত্র ৩০ রানে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়া কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
ভারতের সঙ্গে ৪৪ রানে হারের পর গণমাধ্যমের সামনে আসেন রাবেয়া। সেখানেই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ব্যাটারদের দিকে আঙুল তুললেন এই লেগ স্পিনার। একমাত্র নিগার ছাড়া কেউই রান পাননি আজ। অধিনায়ক খেলেছেন ৫১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। এর বাইরে মোর্শেদা খাতুন (১৩) ও স্বর্ণা খাতুন কেবল (১১) দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন।
ব্যাটারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাবেয়া বলেছেন, ‘বোলাররা গত ছয় মাস ধরেই কাজটা ঠিক মতো করছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাটাররা… টপ অর্ডারের কয়েকজন যদি দাঁড়াতে পারে, আমরা ম্যাচটা হয়তো ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম।‘
এরপর নিগারের উদহারণ টেনে রাবেয়া বলেছেন, ‘জ্যোতি আপু সবসময়ই দায়িত্বশীল একজন। তিনি সবসময়ই এমন পরিস্থিতিতেও দীর্ঘ ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন। কেউ সমর্থন দিতে পারছেন না বলেই এমন অবস্থা হচ্ছে। প্রথম থেকে ব্যাটাররা রানে থাকলে পরের দিকের ব্যাটারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। তবে জ্যোতি আপু নিয়মিত ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।’
উইকেটের প্রশংসা করে রাবেয়া আরও বলেছেন, ‘উইকেট ভালো ছিল, স্পোর্টিং ছিল। আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। আর ভালো বোলিং করাটা আমার দায়িত্ব। ওদের যতটা ডট খেলানো যায়, আমাদের জন্য ভালো, ওদের চাপে ফেলা যায়। তবে আরেকটু ভালো করার জায়গা ছিল।'
খেলা শুরুর আগেই ভারতকে ১৫০ রানের মধ্যে আটকানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। এই পরিকল্পনা বেশ ভলোভাবেই বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নিজেদের পরিকল্পনা কী ছিল এমন প্রশ্নে রাবেয়া বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৪০-১৫০-এর মধ্যে থামানো। পরিকল্পনা ছিল বল ধরে ধরে খেলার, বাজে বলে তো বাউন্ডারি আসবে।’