পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচটিতে জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই পুরোনো ‘রোগ’ থেকে নিজেদের এখনও মুক্ত করতে পারেনি। তাতে স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রানও পায়নি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। মোর্শেদা খাতুনের হাফ সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে সংগ্রহ করতে পারে ১১৯ রান। ম্যাচ জিতলে হলে ভারতকে করতে হবে ১২০ রান। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া এই লক্ষ্যটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তারপরও ভালোই খেলছিলেন সোবহানা মোস্তারি ও মোর্শেদা খাতুন। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভারে বলের লাইন মিস করে খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন লম্বা সময় ধরে অফফর্মে থাকা সোবাহানা। আজ ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে ৪৩ রান।
সোবাহানার আউটের পর অধিনায়ক জ্যোতি ক্রিজে নামেন। আগের ম্যাচে লড়াকু হাফসেঞ্চুরির পর তার কাছে বড় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হন তিনি। রাদা যাদবের ঘূর্ণিতে ১১ বলে ৬ রান তুলে এলবিডাব্লিউর শিকার হন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মোর্শেদা। ১১তম ওভারের বৃষ্টিও হানা দেয় ম্যাচে।
তার পর ৬ষ্ঠ উইকেটে রিতু মনিকে সঙ্গে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন মোর্শেদা। রিতু ১৮ বলে ২ চারে ২০ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। তখন স্কোর একশ ছাড়িয়েছে।
১৮ ওভারে বাংলাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৪ রান। কিন্তু শেষ দুই ওভারে রানই তুলতে পারেনি ব্যাটারা। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে রান আউট হলে কাটা পড়েন মোর্শেদা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ পাঁচ বল মোকাবেলা করেন ফারিয়া ইসলাম। একটি রানও তিনি নিতে পারেননি। শেষ দুই ওভারের ব্যর্থতায় সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থামে ১১৯ রানে।
ভারতের বোলারদের মধ্যে রাধা যাদব ১৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। এছাড়া দিপ্তী শর্মা ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিল প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন পূজা বস্ত্রাকার।