একের পর এক ম্যাচ খেলে যাচ্ছেন লিটন দাস। কিন্তু বলার মতো রান নেই। আশা ছিল, জিম্বাবুয়ের মতো কম শক্তির দলের বিপক্ষে হয়তো রানের দেখা পাবেন লিটন। কিন্তু পারেননি তিনি। তিন ম্যাচেই হয়েছেন ব্যর্থ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১ রানে আউটের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ২৩ রান। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১২ রান। রানের চেয়ে তার আউটের ধরন নিয়েই বেশি প্রশ্ন। মঙ্গলবার ব্লেসিং মুজারাবানিকে দুইবার স্কুপ করে ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বারও একই শট খেলে আউট হয়েছেন তিনি।
লিটনের পারফরম্যান্স নিয়ে সর্বত্র যেখানে সমালোচনা, সেখানে তাওহীদ হৃদয় অফফর্মে থাকা সতীর্থের পাশে থাকলেন। তৃতীয় ম্যাচ জয়ের নায়ক এই ব্যাটার লিটনের ওপর আস্থা রেখে বলেছেন, ‘দেখেন, কেউ তো ইচ্ছা করে উইকেট দিয়ে আসে না। লিটন ভাই বা যারা টপ অর্ডার ব্যাটার, তারা নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছে। একজন ক্রিকেটার সবসময় ভালো খেলবে না। লিটন ভাই.. উনার স্ট্রাইকরেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে শুনেছি। আসলে যাচাই করে দেখলে দেখা যাবে এখনও উনার স্ট্রাইকরেট বাংলাদেশের সেরা দুই তিন জনের ভেতরে আছে। আসলে বিশ্বের যত বড় ব্যাটারই হোক, সে প্রতিটা ম্যাচ বা সিরিজে ভালা করবে না। আশা করছি, যারা ভালো করছে না তারা খুব দ্রুত রানে ফিরবেন। একটা ইনিংস ভালো করলেই (লিটন) ফর্মে ফিরবেন। এমনও হতে পারে খুব বড় ম্যাচে খেলার দৃশ্যপট বদলে দেবেন। আমাদের সবার বিশ্বাস রাখতে হবে, বিশ্বাস হারালে চলবে না।'
প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই সেভাবে রান তুলতে পারছে না বাংলাদেশে। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে ৩, ৪১ ও ৪২ রান। পাওয়ার প্লের প্রসঙ্গ এলে হৃদয় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন সাংবাদিকদের। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আপনাদের দিক থেকে কত হলে ভালো? আমাদের যদি উইকেট থাকে, তবে এটা (৫৫-৬০) হতে পারে। শুরুতে বেশি উইকেট যদি পড়ে যায় তাহলে ৪৫-৬০ সব দিন হবে না। হয়তো বা ৫-১০ রান এদিক ওদিক হয়েছে। যদি আমাদের ব্যাটাররা আরও একটু ভালো শুরু করে, তাহলে এটাও পুষিয়ে দেওয়া যাবে। উইকেট আমরা হারিয়েছি বলেই ৫-১০টা রান কম হয়েছে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কতটা ভালোভাবে নেওয়া সম্ভব, এমন প্রশ্নে হৃদয়ের জবাব, ‘আমার কাছে তো সঠিকই মনে হচ্ছে। কারণ বিশ্বকাপের আগে তো আর ম্যাচ নেই। যেহেতু বিশ্বকাপের আগেই এই সিরিজ, এখানেই আমরা যতটুকু পারবো নিজেদের তৈরি করবো। ব্যাটারদের সবার পরিকল্পনা আছে, সেই অনুযায়ী তারা খেলার চেষ্টা করছে। খেলাটা এত সহজ হচ্ছে না। ওরাও ভালো দল, ওদেরও কয়েকজন ভালো ক্রিকেটার আছে। জিম্বাবুয়ে বলে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটা দলই শক্ত, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ক্রিকেটের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। আমার মনে হচ্ছে, খুব ভালো প্রস্তুতি হচ্ছে। কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। ওই জায়গাগুলোতে প্রতিদিন উন্নতি করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো।’