দুই পেনাল্টিতে ম্যাচে তখন সমতা। তার পর অবশ্য মোহামেডানের সঙ্গে পেরে উঠেনি শেখ রাসেল। মুজাফররভ ও জাফর ইকবালের দারুণ গোলে সাদা-কালোরা তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। প্রিমিয়ার লিগে দুই লাল কার্ডের ম্যাচে ৩-১ গোলে শেখ রাসেলকে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংসের পিছু পিছু থাকছে মোহামেডান।
লিগে প্রথম পর্বে মোহামেডানকে রুখে দিয়েছিল শেখ রাসেল। আজ আর তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। মোহামেডান ১১ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। সমান ম্যাচে শেখ রাসেল আগের ১১ পয়েন্টে সপ্তম স্থানেই অবস্থান করছে। কিংস ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষেই।
শনিবার কিংস অ্যারেনাতে মোহামেডান প্রথম সুযোগ পায় ১১ মিনিটে। মিতুল মারমার দুর্দান্ত সেভে মুজাফফরভের প্রচেষ্টা যায় বিফলে। বক্সের বাইরে থেকে এই উজবেকের দূর পাল্লার গতির শট লাফিয়ে হাতের স্পর্শে বল বাইরে পাঠান মিতুল।
এরপর মোহামেডানের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে শেখ রাসেল। সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং করতে পারছিল না দলের ফরোয়ার্ডরা। মোহামেডানও প্রতি আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সুবাদে প্রথমার্ধেই পেয়ে যায় গোল।
৩৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন সোলেমান দিয়াবাতে। বক্সের বাইরে থেকে এমানুয়েক সানডের গতিময় শট মিতুল এই যাত্রায় ফিরিয়ে দিলেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফিরতি বল দিয়াবাতে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে পেছন থেকে তাকে ফেলে দেন সাগর মিয়া। তখন পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
পিছিয়ে পড়ার পর আরও বড় ধাক্কা খায় শেখ রাসেল। মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগেই দলটির কোচ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। শেখ রাসেল আক্রমণে যাচ্ছিল, অফসাইডের পতাকা তুলেন সহকারি রেফারি। যার প্রতিবাদ জানায় শেখ রাসেলের ডাগ আউটে থাকা কোচ ও খেলোয়াড়রা। এক পর্যায়ে চতুর্থ রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান শেখ রাসেলের কোচ জুগেস্লাভ ট্রেন্চকোভিস্কি। এর জেরেই কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই স্বস্তি ফেরে শেখ রাসেল শিবিরে। বক্সের মধ্যে মেহেদি হাসান মিঠুর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ভোজিসলাভ বালাবানোভিচ। বিরতির পর মোহামেডানের দাপট অব্যাহত থাকে। ৫০ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুলকে একা পেয়েও দিয়াবাতে বল জালে পাঠাতে পারেননি।
৭২ মিনিটে মোহামেডান আবারও এগিয়ে যায় দৃষ্টিনন্দন এক গোলে। বক্সের বাইরে থেকে উজবেকিস্তানের মোজাফফরভের ডান পায়ের বুলেট গতির শটে মিতুল পরাস্ত হন। বলের লাইনে ঝাঁপালেও নাগাল পাননি তিনি। এমন গোল সচরাচর কমই দেখা যায়।
৫ মিনিট পর মোহামেডান তৃতীয় গোল করে শেখ রাসেলকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দেয়। দিয়াবাতের ডান প্রান্তের ক্রসে ফাঁকায় জাফর ইকবাল পোস্টের সামনে থেকে শুধু প্লেসিং করে দেন।
৭৯ মিনিটে আবারও রাসেলের দুর্ভাগ্য হয়ে আসে লাল কার্ড। গিনির সেকু সিল্লাহ লাল কার্ড দেখেন। শেখ রাসেল বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে। শওকত আলীর মুখে সরাসরি আঘাত করার কারণে রেফারি আলমগীর সরকার লাল কার্ড দেখান। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামাল ও পুলিশ এফসি ২-২ গোলে ড্র করেছে।