গত বছর প্রথমবারের মতো ভুটানের ক্লাব দলে কোচিং করিয়েছেন আজমল হোসেন বিদ্যুৎ। প্রিমিয়ার লিগে রেভেন এফসির হয়ে পাঁচ মাসের মতো সেখানে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম কোচ হিসেবে দেশের বাইরে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করে আবারও সেখানে ডাক পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা সাবেক এই ফুটবলার। এবার রেভেন এফসি নয়, প্রিমিয়ার লিগের আরেক দল দাগা ইউনাইটেড এফসির হয়ে কোচিং করাবেন তিনি।
কিছু দিন আগে আজমল হোসেন বিদ্যুৎ ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু দলের অবস্থা বেগতিক দেখে আর সেখানে থাকেননি। ভুটান থেকে আমন্ত্রণ পেয়েই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভুটানে লিগ শুরু হবে। বিদ্যুৎ যাবেন প্রথম সপ্তাহে।
সেখানে কোচিং করানো নিয়ে বিদ্যুৎ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ওখানে গত বছর কোচিং করিয়েছি। প্রথমবার কোচিং করিয়ে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক হয়েছে। ওরা আমার কাজ পছন্দ করেছে। তাই এবার নতুন দলের দায়িত্ব নিয়ে সেখানে যাচ্ছি।’
আগের চেয়ে পারিশ্রমিক বাড়ছে। তবে সেটা বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের কোনও ক্লাবের সমমানের নয়। এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ অবশ্য বলছেন, ‘আসলে কোচিং করানোটা হলো বড় বিষয়। দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই করছি। বসে থাকতে চাই না। আর ওখানে এখন লিগে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।’
ভুটানের প্রিমিয়ার লিগে ১০ দল খেলছে। গতবার রেভেন এফসি অষ্টম হয়েছিল। তবে সেই দলটি ছিল বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়দের নিয়ে। এবার দাগা ইউনাইটেডে আগের চেয়ে ভালোমানের খেলোয়াড় থাকায় তাদের নিয়ে শীর্ষে যেতে চান একসময় জাতীয় দলে খেলা এই ফুটবলার, ‘আশা করছি, এবার ভালো ফল করতে পারবো। সেই লক্ষ্য নিয়েই সেখানে যাবো।’
বাংলাদেশের লিগে বিদ্যুৎ ২০১৯ সালে আরামবাগের সহকারী কোচ ছিলেন।। ৪টি ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ হিসেবে ডাগ আউটে ছিলেন তিনি। এছাড়া স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘে কোচ কাম খেলোয়াড়, অগ্রণী ব্যাংক ও চট্টগ্রামে নওজোয়ান ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাও আছে। এছাড়া খেলোয়াড়ি জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগে খেলেছেন। আরামবাগ, ফরাশগঞ্জ, আবাহনীর পর মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছেন ১১ বছর। মাঝে ফেনী সকারে ছিলেন ২ বছর। বয়সভিত্তিক ছাড়াও লাল-সবুজ জার্সি গায়ে কয়েকটি ম্যাচও খেলার অভিজ্ঞতা আছে। প্রয়াত মোনেম মুন্নাকে দেখেই ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি।