২০২০ সালটা এখনও যন্ত্রণার কারণ পিএসজির। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে দল গোছালেও ইউরোপ সেরার মুকুটই যে ধরা দিচ্ছে না! ২০২০ আসরে কাছে গিয়েও সেটা হাতছাড়া হয়েছে। সেই শেষবার! স্বপ্ন পূরণে এবার তিনধাপ দূরে আছেন এমবাপ্পে। যেখানে তাদের বাধা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
পিএসজি ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবার মৃত্যুকূপে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করেছিল। প্রথম ম্যাচেই গ্রুপ পর্বে দেখা হয়েছিল তাদের। সেই লড়াইয়ে ঘরের মাঠে পিএসজি জিতলেও ডর্টমুন্ডের মাঠে ম্যাচটা ড্র হয় ১-১ গোলে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আজ আবারও দল দুটি মুখোমুখি। সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ম্যাচটা মাঠে গড়াবে রাত ১টায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারই প্রথম দল দুটি গ্রুপ পর্বের পর সেমিফাইনালে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে খেলতে নামছে। হাই ভোল্টেজ ম্যাচটা জিততে হলে পিএসজিকে গড়তে হবে ইতিহাস! ডর্টমুন্ডের মাঠে কখনও জিততে পারেনি তারা। একটি পরাজয়ের সঙ্গে ড্র আছে দুটি। তার ওপর চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে একটিও হার নেই ডর্টমুন্ডের। বলা যায় ঘরের মাঠ তাদের কাছে দুর্গ! সব মিলে অগ্নিপরীক্ষার সামনে ফরাসি দল। কিন্তু পিএসজি কোচ লুই এনরিকে শিষ্যদের কাছে উপভোগের মন্ত্রই আসল কথা, ‘এখানে থাকার বিশেষত্ব হলো ইউরোপের অনন্য এক স্টেডিয়ামে বিশেষ একটি ম্যাচ উপভোগ করতে পারা। আমরা এখানে উপভোগের জন্যই এসেছি।’
পিএসজির জন্য প্রেরণা হতে পারে ফ্রেঞ্চ লিগ। লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করেই তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসেছে। কিন্তু ঘরোয়া লিগে ফরাসি জায়ান্টদের সেই আধিপত্য ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে কখনও ধরা দেয়নি। যারা একবার ফাইনাল খেলে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে ২০২০ সালে! এনরিকে অধরা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দুই লেগের ম্যাচই জিততে চাইছেন। কিন্তু নিজেদের শক্ত ফেভারিট মানতে নারাজ তিনি, ‘আমরা প্রস্তুত। দারুণ দুটি ম্যাচই জিততে চাই। তবে ফেভারিটের কথা বললে এটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে সংবাদ মাধ্যম ফুটবল সম্পর্কে কিছু জানে না।’