নারী ফুটবল লিগে অংশ নেওয়া দলগুলো আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে নিজেদের কাউন্সিলরশিপ তথা ভোটাধিকার চেয়েছিল। আজ শুক্রবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় নারী ফুটবল কমিটি তা প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৯ দল নয়, শীর্ষ চারটি দলকে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার বিষয়ে সায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামী ২৯ জুন বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভাতে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে অক্টোবরের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলে অংশ নেওয়া চার ক্লাব ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বাফুফের দীর্ঘমেয়াদে চলা নির্বাহী কমিটির সভাতে আরও বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে নানান বিষয় তুলে ধরেন। নারী লিগে কাউন্সিলরশিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'আমাদের সভাপতি মনে করেন বাংলাদেশ নারী ফুটবলে ভালো করছে। সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নারী লিগে ক্লাবগুলো কাউন্সিলরশিপ পেলে আরও উৎসাহিত হবে। তাই বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে না, শীর্ষ চার দল পাবে। এখন বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যরা তা পাস করলে ভোট দিতে পারবে। আগেই ফিফাকে আমরা বলেছি কাউন্সিলরশিপ কমাবো না।'
এছাড়া চলমান প্রিমিয়ার লিগ থেকে একটি ক্লাবের অবনমন হবে। এখন থেকে পাইওনিয়ার লিগ অনূর্ধ্ব-১৪, তৃতীয় বিভাগে অনূর্ধ্ব-১৬ ও দ্বিতীয় বিভাগে অনূর্ধ্ব-২০ দল খেলবে। টিঅ্যান্ডটি ক্লাব প্রথম বিভাগে খেলার আবেদন করলে আজকের বোর্ড তা অনুমোদন করেছে।
১ মে পেশাদার লিগ কমিটি মূল স্তরে অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ বয়সী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। বিদেশি খেলোয়াড় বদলি হয়ে মাঠে নামতে পারবে। তবে বয়সভিত্তিক খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তকরণ বাতিল করা হয়েছে। আগের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো না থাকায় তা সভায় অনুমোদন হয়নি।