একটা সময় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ক্রিকেট ছেড়েছেন সেই ২০০৮ সালে। কিন্তু এখনও বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১০০ উইকেট) উইকেট সংগ্রাহক বাঁহাতি এই সাবেক স্পিনার।
অবসর নেওয়ার পরই যেন বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় রফিকের। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কোনও কার্যক্রমে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিসিবিও কোনও কাজে লাগায়নি তাকে। ঘরোয়া নির্দিষ্ট কোনও টুর্নামেন্টে ডাক পেলেই কেবল রফিকের দেখা মিলেছে। অবশেষে কিংবদন্তি এই স্পিনারকে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
উদীয়মান ক্রিকেটারদের নিয়ে হাইপারফরম্যান্স ক্যাম্পে স্পিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ রফিক। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর প্রথমবারের মতো বিসিবির কোনও কার্যক্রমে কাজ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে ১১৯ উইকেট পাওয়া রফিক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে কাজ করেছেন। কিন্তু বিসিবির কোনও প্রোগ্রামে এটাই প্রথম অংশগ্রহণ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া সাবেক এই স্পিনারের।
এর আগেই এইচপি ক্যাম্পে দেশি পাঁচজন কোচকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। ছয় নম্বর কোচ হিসেবে যোগ দিলেন রফিক। মোহাম্মদ রফিকের অর্ন্তভুক্তির বিষয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ন্যাশনাল ম্যানেজার ও এইচপির দায়িত্বে থাকা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘রফিক এইচপিতে স্পিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করবেন। এইচপিতে আগেই ছিলেন ওয়াহিদুল হক গণি। এখন উনার সঙ্গে রফিকও এইচপি ক্যাম্পে থাকবেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর কেরানীগঞ্জে নিজের ব্যবসাতেই বেশি সময় দিয়েছেন রফিক। বিসিবি থেকে তেমন কদর না মেলায় ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাননি রাজ্জাক-সাকিবদের এই অগ্রজ। তবে ঘরোয়া কোনও টুর্নামেন্টে ডাক মেলেই ছুটে এসেছেন ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকতে। এবার অনুজদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ মেলায় নিশ্চয়ই তৃপ্তির জায়গা খুঁজে পাবেন তিনি।
/আরআই/এমআর/