আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব বনাম আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ম্যাচ দিয়ে জজ ভুইয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও শেখ জামাল ও অন্য তিনটি ক্লাবের মধ্যে খেলোয়াড়দের দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে এখনও ক্লাবগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকতে দিতে পারছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
দেনা-পাওনার মূল কেন্দ্রবিন্দু শেখ জামাল। তাদের কাছে ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র মোট ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাবে। তবে শেখ জামালও যে বিভিন্ন খেলোয়াড়দের কাছে টাকা পাবে না তা কিন্তু নয়। শেখ জামাল বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাবে। সে অর্থে শেখ জামালের নিট দেনা ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার পাঁচশো ৬৭ টাকা।
বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কামিটি দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে টাকার অংক নিশ্চিত করেছে বিধায় এ ব্যাপারে ক্লাব বা খেলোয়াড়দের আর কিছু বলার নেই। কমিটি রায়ও দিয়েছে যদি টাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তি না হয় তবে এসব খেলোয়াড়রা নিজ ক্লাবের হয়ে খেলতে পারবেন না।
প্রথমে অাছেন কেষ্ট কুমার বোস ও ইয়াসিন খানের মামলা। এ দুই ডিফেন্ডার ঢাকা আবাহনীর কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নেওয়ার পরও যোগ দেন শেখ জামালে। দুই জনের অগ্রিম হিসেবে নেওয়া মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আবাহনীকে ফেরত না দিলে তারা মাঠে নামতে পারছেন না।
একই অবস্থা দিদারুল হক ও লিংকনের। দিদারুল ৮ লাখ ও লিংকন ১৯ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে নিয়েছিলেন শেখ রাসেলের কাছ থেকে। কিন্ত পরে যোগ দিয়েছেন শেখ জামালে। তাই শেখ জামালের কাছে শেখ রাসেল এ টাকা দাবি করেছে। কমিটির রায়ও তাদের পক্ষে।
বর্তমানে ঢাকা আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল, চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই ডিফেন্ডার ইয়ামিন মুন্না ও নাসিরউদ্দিন চৌধুরি তিনজন শেখ জামালের কাছ থেকে গত মৌসুমের চুক্তির অর্থের ১৬ লাখ টাকা পাবেন। তারা তাদের পাওনা অর্থ দাবি করছেন। পাওনা পরিশোধ না করলে জামালকে খেলার অনুমতি দিতে বাধা প্রদানে আবেদন করেছেন।
তবে দেনা-পাওনার ব্যাপারটি একপাক্ষিক নয়। চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই নির্ভরযোগ্য নাম সোহেল রানা ও রায়হান হাসান শেখ জামালের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা করে অগ্রিম নিয়ে যোগ দিয়েছেন বন্দর নগরীর ক্লাবটিতে। মিডফিল্ডার আলমগীর কবির রানাও জামালের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে গেছেন শেখ রাসেলে। তাদের কাছ থেকে ষোলো লাখেরও বেশি টাকা পাবে শেখ জামাল।
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি আজ রাতের মধ্যেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানা গেছে।
শেখ জামালের কাছে ঢাকা আবাহনীর পাওনা
কেষ্ট কুমার বোস---২ লাখ টাকা (অগ্রিম)
ইয়াসিন খান- ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা (অগ্রিম)
শেখ জামালের কাছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পাওনা
দিদারুল – ৮ লাখ টাকা (অগ্রিম)
মো. লিংকন---১০ লাখ টাকা (অগ্রিম)
শেখ জামালের কাছে বিভিন্ন খেলোয়াড়ের পাওনা
শহীদুল আলম সোহেল-- ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা (গত মৌসুমের বকেয়া)
ইয়ামিন মুন্না---৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা (গত মৌসুমের বকেয়া)
নাসিরউদ্দিন চৌধুরী---৫ লাখ টাকা (গত মৌসুমের বকেয়া)
বিভিন্ন খেলোয়াড়ের কাছে শেখ জামালের পাওনা
আলমগীর কবির রানা--২ লাখ টাকা (অগ্রিম)
রায়হান হাসান-- ৭ লাখ টাকা (অগ্রিম)
সোহেল রানা--- ৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা (অগ্রিম)
/আরএম/এমআর/