আফগানিস্তানের জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১৮ বলে ১৩ রান। ক্রিজে তখন আফগান শেষ ব্যাটসম্যান নজিবুল্লাহ জারদান। অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ হারান টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। আর তাতেই হেরে যায় বাংলাদেশ! ওই জারদানই ২৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থেকে জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
মাশরাফি অবশ্য মুশফিককে সব দোষ দিচ্ছেন না। পরাজয়ের দায় পুরো দলেরই বললেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘মুশফিককে একা দোষ দেওয়াটা কঠিন। হয়তো ওটা হলে সুযোগ থাকতো। কাউকে একা দোষ দিয়ে লাভ নেই। সবমিলিয়ে আমরা টিম হিসেবে খারাপ করেছি। বোলিংয়েও নবী ও আসগর যখন রান করছিল তখন আমরা আরও একটু আক্রমণ করতে পারতাম। উইকেটে না নিলেও রান রেটের চাপে ফেলতে পারতাম। এক পেশে সব দোষ দিয়ে লাভ নেই। ওভারঅল টিম হিসেবে ভালো করিনি।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন অবদি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বহু ক্যাচ-স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন মুশফিক। তার দায় নিতে হয়েছে দলকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট কিপারের এমন মিসে ভুক্তভোগি হতে হয়েছে লাল-সবুজদের।
মাশরাফি তারপরও মানতে নারাজ। এই ম্যাচ হারার পেছনে কোনও মতেই মুশফিকের একার দোষ নেই। বললেন, ‘এর থেকে ভালো ক্যাচ কঠিন পরিস্থিতি মুশফিক নিয়েছে। এক তরফা বলা ঠিক হবে না। যে কোনও কারণেই হোক, সে মিস করে ফেলেছে। আমি মনে করি না মুশফিকের ক্যাচ মিসেই আমরা হেরে গেছি। মুশফিক পর্যন্ত আসার আগেই আামাদের ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিলো। ভালো খেললে এ পর্যন্ত আসত না। ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।’
দলের প্রতি মুশফিকের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন নেই কারো। অনুশীলনে সবার মাঠে আসেন টেস্ট এই অধিনায়ক। দলের অনুশীলন শুরুর আগে নিজে টিমবয়দের নিয়ে অনুশীলন করেন। এতো পরিশ্রমের পরও ব্যর্থ হন মুশফিক। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে গিয়ে কিপিংয়ে মনোযোগ হারাচ্ছেন না তো মুশফিক? এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আমি যতটুকু দেখেছি ও সবার আগে এসে ব্যাটিং করে আবার কিপিং করে। সমানভাবে অনুশীলন করে। আমি কখনও দেখিনি যে কিপিংয়ে ওর মনোযোগ ঘাটতি আছে। দূর্ভাগ্যবশত মুশফিক এবং আমরা যা আশা করিনি তাই হচ্ছে। এমনটা কোনও ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তার একার উপর দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।’
/আরআই/এএ/